Burra Bazar Loot Case: সরষের মধ্যেই ভূত? রূপো লুঠে স্ক্যানারে খোদ থানার আইসি-র ভূমিকা

Burra Bazar : কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার ওই পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা সম্পর্কে বিশদে জানানো হচ্ছে হাওড়া পুলিশের কমিশনারকে। যেহেতু অপরাধের ঘটনাটি হাওড়া পুলিশের এলাকায় ঘটেছে, তাই মামলাটি হাওড়া পুলিশকে হস্তান্তেরের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুলিশ।

Burra Bazar Loot Case: সরষের মধ্যেই ভূত? রূপো লুঠে স্ক্যানারে খোদ থানার আইসি-র ভূমিকা
বড় বাজারে লুঠের তদন্তে নয়া মোড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 11:40 PM

সি জা র ম ণ্ড ল

লুঠের পান্ডা থানার ইনস্পেক্টর ইন চার্জ? দাসপুরের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রূপোর গয়না লুঠের ঘটনায় এমনই তথ্য উঠে আসছে কলকাতা পুলিশের তদন্তে। লুঠের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হাওড়া পুলিশের দুই কনস্টেবল এবং আরও চারজনকে জেরা করে বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার আইসি পথিকৃত চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। সোমবার ধৃত পুলিশকর্মীদের ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ও আদালত চত্বরে ধৃতরা দাবি করেন, লুঠের পান্ডা বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার আইসি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার ওই পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা সম্পর্কে বিশদে জানানো হচ্ছে হাওড়া পুলিশের কমিশনারকে। যেহেতু অপরাধের ঘটনাটি হাওড়া পুলিশের এলাকায় ঘটেছে, তাই মামলাটি হাওড়া পুলিশকে হস্তান্তেরের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

৭ জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের অলঙ্কার ব্যবসায়ী সমীর মান্না হাওড়া স্টেশনে বাস থেকে নামেন। সেখানে হঠাৎ কয়েকজন যুবক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নিউটাউনে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকা ১১ কিলোগ্রাম রূপোর গয়না কেড়ে নেয় ওই যুবকরা। ব্যবসা সূত্রে সমীর মান্নার বড়বাজার এলাকায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্রে তিনি বড়বাজার থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “অপরাধ কলকাতা পুলিশ এলাকায় না হলেও, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে আমরা এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করি।” সিসি ক্যামেরা ফুটেজ এবং মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে প্রথমে যে গাড়িতে সমীরকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই গাড়িটি চিহ্নিত করা হয়। পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক সহ তিনজনকে। তাদের জেরা করে হদিশ মেলে হাওড়া পুলিশের দুই কনস্টেবল সুরজিৎ সরকার এবং সমীরণ পাত্রর। জয়নগর থেকে পাকড়াও করা হয় এদের আরও এক সঙ্গীকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত পুলিশকর্মীদের একজন হাওড়া পুলিশ লাইনে কর্মরত। অন্যজন বোটানিক্যাল গার্ডেন থানায় কর্মরত। সূত্রের খবর, ধৃতরা জেরায় দাবি করেছে, আইসি বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছেই খবর আসে যে ওই ব্যবসায়ী রূপোর গয়না নিয়ে হাওড়া স্টেশনে বাস থেকে নামবেন। এরপর তাঁর নির্দেশেই ওই পুলিশকর্মীরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রূপো লুঠ করে বলে দাবি ধৃত পুলিশকর্মীদের।

সোমবার আদালত চত্বরেও ধৃত পুলিশকর্মীরা দাবি করেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার আইসি পথিকৃত চট্টোপাধ্য়ায়ের লকার থেকে সাড়ে ৬ কিলোগ্রাম লুঠের রূপোর গয়না উদ্ধার করেছে। ধৃত পুলিশ কর্মীদের দাবি, ৭ জুন এবং ৮ জুন থানার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্তকারীরা পরীক্ষা করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে কারা থানায় গিয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে কী সঙ্গে ছিল। কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা ধৃত পুলিশকর্মীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেননি। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “ধৃত পুলিশকর্মীদের বয়ান থেকে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। থানার আইসি-র ভূমিকা নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। আমরা ওই আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছি।”

অন্যদিকে হাওড়া পুলিশের এক শীর্ষ কর্তাও স্বীকার করেন, তদন্তে যে আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা তাঁরাও জেনেছেন। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে বিশদ রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। কয়েক বছর আগে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত এক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেও ঠিক একই ভাবে সোনা লুঠের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই পুলিশ কর্তাকে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।