Saline: আর এল-এ নিষেধাজ্ঞা স্বাস্থ্য দফতরের, মুমূর্ষু রোগীরাও পাচ্ছেন না স্যালাইন

Saline: জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সুপারিশে বাঁকুড়া জেলার সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্যালাইন সরবরাহ করা হয় কলকাতায় অবস্থিত স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল স্টোর থেকে। এতদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল স্টোরে সমস্ত ধরনের স্যালাইন সরবরাহ করে আসছিল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস।

Saline: আর এল-এ নিষেধাজ্ঞা স্বাস্থ্য দফতরের, মুমূর্ষু রোগীরাও পাচ্ছেন না স্যালাইন
স্যালাইন পাচ্ছেন না রোগীরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2025 | 2:31 PM

বাঁকুড়া: চিকিৎসা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্যালাইন আর এল। প্রসূতি থেকে শুরু করে পথ দুর্ঘটনা, ডায়েরিয়া থেকে শুরু করে মুমূর্ষু বিভিন্ন রোগে এই রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য দফতর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বাঁকুড়া জেলার সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে বিশেষ ওই শ্রেণির স্যালাইন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সুপারিশে বাঁকুড়া জেলার সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্যালাইন সরবরাহ করা হয় কলকাতায় অবস্থিত স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল স্টোর থেকে। এতদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল স্টোরে সমস্ত ধরনের স্যালাইন সরবরাহ করে আসছিল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর রাতারাতি ওই সংস্থার তৈরি স্যালাইনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা মেনে বাঁকুড়া জেলার সমস্ত প্রাথমিক ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত থাকা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরী আর এল স্যালাইন ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

একদিকে সরকারি নির্দেশে মজুত থাকা সমস্ত আর এল স্যালাইন ফিরিয়ে নেওয়া অন্যদিকে ওই স্যালাইন সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক ও ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালই এখন আর এল স্যালাইন শূন্য হয়ে পড়েছে। ক্রমশই তীব্র হচ্ছে ওই স্যালাইনের অভাব। এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্যালাইন না থাকায় কিছুটা হলেও ব্যহত হচ্ছে হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসা পরিসেবার এই বেহাল অবস্থার কথা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও।