Calcutta High Court: সত্যিই কি মামলার জন্য থমকে রয়েছে চাকরি? ‘সিরিয়াস বিষয়’ খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি

Justice Abhijit Gangopadhyay: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, তা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

Calcutta High Court: সত্যিই কি মামলার জন্য থমকে রয়েছে চাকরি? 'সিরিয়াস বিষয়' খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 4:03 PM

কলকাতা : শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। আদালতে একের পর এক মামলা। রাজ্য সরকার তথা শাসক দল থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই মামলাগুলির জন্য অনেক শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রয়েছে। এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। শিক্ষা দফতরের কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে, সেই সব বিষয়গুলি এবার সবিস্তারে জানতে চাইল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, তা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায়কে। বিচারপতি বলেন, “১৮ হাজার চাকরি রয়েছে নাকি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনছি, সেগুলি মামলা চলার জন্য দেওয়া যাচ্ছে না।” এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির নির্দেশ, কোথায় কত পদ খালি রয়েছে, তা কয়েকদিনের মধ্যে জানাতে হবে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা… প্রতিটি ক্ষেত্রে কত শূন্য পদ রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে আদালতে। যদি স্কুলগুলিতে গ্রন্থাগারিকের কোন পদ খালি থাকে, তাও জানানো যেতে পারে বলে সোমবার বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলছে। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি। মামলা চলার কারণে যাতে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ আটকে না থাকে, সেই বিষয়টি দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি মামলার জন্য বা আদালতের জন্য এত জনের চাকরি আটকে থাকে তাহলে বিষয়টি সিরিয়াস। যদি সত্যিই এই বিষয়টির কোনও বাস্তবতা থাকে, তাহলে এটি যাতে আটকে না থাকে সেই বিষয়টি দেখব।” বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে না বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।