Calcutta High Court: এবার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও নিয়োগে বেনিয়ম? তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব হাইকোর্টের

Webel: মামলাটি উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওয়েবলকে। মামলায় আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওয়েবলের থেকে জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Calcutta High Court: এবার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও নিয়োগে বেনিয়ম? তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 7:21 PM

কলকাতা : রাজ্যে আবারও নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ। এবার অভিযোগ বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের নিয়োগ নিয়ে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে চুক্তিভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর , কনসালট্যান্ট এবং জুনিয়র কনসালট্যান্টের মতো বিভিন্ন অস্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় ২৮০০ শূন্যপদে নিয়োগের প্রার্থীদের না জানিয়েই নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমা করেও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলাটি উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওয়েবলকে। মামলায় আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওয়েবলের থেকে জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলাকারীদের অভিযোগ,টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা (ওয়েবল)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও আরও একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। যেমন, নিয়োগের বিষয়ে পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন না দেওয়া, কোনও লিখিত পরীক্ষা না নেওয়া, নির্দিষ্ট করে কোনও বয়সসীমান না জানানো, নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্দিষ্ট না করা – এমনই বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বেআইনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল, ২০২১ সাল এবং ২০২২ সালে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে মামলাকারীদের প্রশ্ন, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হল?

এই পরিস্থিতিতে মামলাকারীদের বক্তব্য, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং আগের সমস্ত চাকরি বাতিল করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বর্তমানে একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগে বেনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক শিবির। গ্রুপ – সি, গ্রুপ – ডি , শিক্ষক, ফায়ার অপারেটর, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এবার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কার্যত আরও কিছুটা অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের।