Bratya Basu: ‘চাকরি তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে’, ভাইরাল ভিডিয়োতে ‘অস্বস্তিতে’ ব্রাত্য
Bratya Basu: ব্রাত্য বসুর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়েও চলছে জোরদার চর্চা। ওই ভিডিয়োতে ব্রাত্যকে বলতে শোনা যায়, “চাকরিটা তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। কীভাবে পাবে, কোথায় পাবে, কেন পাবে তা আমি বলব না।”
কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারীতে (SSC Scam) ইডি (ED) হেফাজতে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Former Education Minister Partha Chatterjee)। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই অর্পিতাই আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। এরইমধ্যে এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারীতে জুড়ে গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu) নাম। নেপথ্যে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো। যদিও এ ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে।
সম্প্রতি দক্ষিণ দমদমের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছিলেন ব্রাত্য। ওই ভিডিয়োতে রাজুকে বলতে শোনা যায়, “১০০ ছেলে, আমরা যারা এখানে আছি, আমরা প্রাইমারি টিচারের জন্য দাদাকে নাম দিয়েছি। দাদা যে কটা কাজ আমাদের দিয়েছে, যে কটায় আমাদের রেকমেন্ডেশন ছিল তার থেকে ৩-৪ গুণ বা ১০ গুণ তার রেকমেন্ডেশনের ছেলেদের কাজ দিয়েছিলেন। আমাদের রাগ হয়েছিল, অভিমান হয়েছিল।” যদিও এ ভিডিয়োর সত্যতা টিভি-৯ বাংলা যাচাই করেনি। রাজুর এ বক্তব্য নিয়েই জোরদার চাপানউতর চলছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বর্তমানে এ প্রসঙ্গে টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে রাজু বলেন, “আমার ঠিক খেয়াল নেই। তবে আমি যখন এ বক্তব্যটা বলছি সে সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। রাজনৈতিক মঞ্চে রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক বেনিফিট নেওয়ার জন্য অনেক সময় অনেক মন্তব্য করে থাকেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ওই সময় কী হয়েছিল কেন হয়েছিল তা নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাই না। যদি অন্য জায়গায় অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা চায় আমি নিশ্চয় দেব।”
অন্যদিকে ব্রাত্য বসুর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়েও চলছে জোরদার চর্চা। এই ভিডিয়োর সত্যতাও যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। ওই ভিডিয়োতে ব্রাত্যকে বলতে শোনা যায়, “চাকরিটা তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। কীভাবে পাবে, কোথায় পাবে, কেন পাবে তা আমি বলব না।” তাঁর এ বক্তব্য নিয়েও শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতর। যদিও এ ভিডিয়োর সত্যতাও টিভি- ৯ বাংলা যাচাই করেনি। কিন্তু, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগে যখন উত্তাল বাংলা, সেই প্রেক্ষাপটে এবার ব্রাত্যর নাম উঠে আসায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “এটি একটি পুরনো ভিডিও নিয়ে এখন ঘোলাজলে নেমে অনর্থক বিতর্ক তোলা হচ্ছে, যেটি আবার ইতিমধ্যেই আদালতে বিচারাধীন। তবুও অন্তত এটুকু বলা যেতে পারে যে সময়ে শিক্ষা বিভাগে চাকরির কথা বলা হচ্ছে, সে সময় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে আমি ছিলাম না, কাজেই আমার মন্তব্য করা অনধিকার চর্চা করা হবে। প্রসঙ্গত একথাও সত্যি যে স্থানীয় স্তরে কোন পার্টি নেতা কি মন্তব্য করলেন, তার উত্তর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে দেওয়া খালি অসম্ভব নয়, অসমীচীনও। যিনি বলেছেন তিনিই ব্যাখ্যা করে বলতে পারবেন ঠিক কোথায়, কবে এবং কী চাকরি দেওয়া হয়েছে।”