Chandana Bauri: ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মামলায় তদন্ত করতে পারে না পুলিশ’, বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR-এ স্থগিতাদেশ
Calcutta High Court: গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলেও অভিযোগ জানান কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী।
কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির (Chandana Bauri) বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে পুলিশ কোনও তদন্ত করতে পারে না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর (FIR)-এর ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আপাতত বিজেপি বিধায়ককে তাই গ্রেফতার করা যাবে না। বিজেপি বিধায়কের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী’র করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়। অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। সেই এফ্আইআর খারিজের আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চন্দনা।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না চন্দনার বিরুদ্ধে। চন্দনা বাউরীর বিরুদ্ধে যে ক’টি এফআইআর আছে, তার মধ্যে ৪৯৪ ধারায় একটি মামলা রয়েছে যা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আভিযোগ। এ দিন বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, এই অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না পুলিশ। যাঁর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আভিযোগ রয়েছে, সেই কৃষ্ণ কুণ্ডু বা যিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন অর্থাৎ কৃষ্ণের স্ত্রী, কাউকেই জেরা করা হয়নি। এই মামলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও কেন জেরা করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এমন অভিযোগ করা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও সামনে আসে।
আরও পড়ুন: Sitaram Yechuri: ‘ভোট শেষ, মোর্চা শেষ’, সাফ জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি
গত মাসে গঙ্গাজলঘাটি থানায় শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের চন্দনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর গাড়ি চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয় এফআইআর। এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন চন্দনা। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। লিখিত অভিযোগে রুম্পা জানিয়েছিলেন, বিজেপি (BJP) বিধায়ক গোপনে কৃষ্ণের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। তাঁদের মধ্যে একটি সম্পর্কও ছিল। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও কৃষ্ণ কুন্ডুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে।
আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ভবানীপুরে নয়া কৌশল বিজেপির, গোপনে প্রচারে যাবেন প্রার্থী
পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। চন্দনা বারবার দাবি করেছেন যে বিরোধীরা তাঁর নামে কুৎসা ছড়ানোর জন্যই এসব করছে। এর আগেও বিরোধীরা তাঁর নামে কুৎসা ছড়িয়েছে বলে দাবি করেন বিধায়ক। বিজেপি নেতৃত্বও গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়। রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও চন্দনার সুরেই সুর মিলিয়ে জানিয়ে দেন চন্দনার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেলেন বিজেপি বিধায়ক। চন্দনার দলবদল নিয়েও জল্পনা সামনে আসে। ঘনিষ্ঠ মহলে চন্দনা জানান, শাসক শিবিরের তরফ থেকে বিভিন্ন সময়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য।