Koustav Bagchi: কলকাতা পুলিশকে বড় ধাক্কা, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
Koustav Bagchi: দিন কয়েক আগেই আচমকা পুলিশ হানা দেয় কৌস্তভের বাড়িতে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও হয়।
কলকাতা : কোনও নোটিস ছাড়াই মধ্যরাতে পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিল কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi) বাড়িতে। সাত সকালে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পরের দিন তিনি জামিন পেলেও, পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এবার কৌস্তভের বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কৌস্তভ। বুধবার সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন আইনজীবী। সেই সঙ্গে মাঝরাতে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে আদালতের তরফে। বটতলা থানার অতি সক্রিয়তা নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
এদিন বিচারপতি বলেন, ‘বটতলা পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান করা উচিত ছিল। এমন কিছু তথ্য প্রমাণ নেই যার থেকে গুরুত্ব বোঝা যায়।’ বিচারপতি স্পষ্ট জানান, কোনও নোটিস না পাঠিয়ে পুলিশ নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, ‘কোর্ট জানতে আগ্রহী, কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। আর সারা রাত থেকে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করল, এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। থানার এই ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান দরকা র।’ কীসের ভিত্তিতে থানা এই ঘটনা ঘটল, তা কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।
সব খতিয়ে দেখে সিপি-কে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এছাড়া আদালত প্রাথমিক ভাবে মনে করছে কৌস্তভ বাগচীকে হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। কৌস্তভ নিজেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবার সিআরপিএফ-কে জানাতে হবে, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না।
আপাতত ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। সশস্ত্র কনস্টেবলও দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁর গ্রেফতারির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস।