Cattle Smuggling Case: বীরভূমে বসেই মুর্শিদাবাদের পাচার নিয়ন্ত্রণ, অনুব্রতর হয়ে সবটা দেখতেন সায়গল: সূত্র
Cattle Smuggling Case: সায়গল হোসেনের মা লতিফা খাতুনের নামে একটি সম্পত্তি রয়েছে। নথি অনুযায়ী, দু'বার হাত বদল হওয়ার পর সেই সম্পত্তি লতিফা খাতুনের নামে হয়েছে।
কলকাতা: বীরভূমে বসেই মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করা হত। পাচার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকতেন সায়গল। সিবিআই-এর হাতে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা দিয়েও যে গরু পাচার হত, তা নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকতেন না। সূত্রের খবর, অনুব্রতর হয়ে পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। আবার অন্যদিকে, মূল চক্রী এনামুল হকের হয়ে থাকতেন ইলামবাজারে গরু হাটের দালাল আব্দুল লতিফ। দু’জনই বীরভূম-মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গার গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন।
সায়গল হোসেনের মা লতিফা খাতুনের নামে একটি সম্পত্তি রয়েছে। নথি অনুযায়ী, দু’বার হাত বদল হওয়ার পর সেই সম্পত্তি লতিফা খাতুনের নামে হয়েছে। কিন্তু যে দামে জমি কেনা হয়েছে, তার থেকে বাজার দর অনেক বেশি। এই জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে সায়গল হোসেনকে সাহায্য করেছিল আব্দুল লতিফ। তার বিনিময়ে বীরভূমের ইলামবাজারের যে গরুর হাট, সেখান থেকে কম দামে যাতে গরু কেনা যায়, সেই সাহায্য করেছিলেন সায়গল, অনুব্রতর হয়েই তা করতেন।
কসূত্রের আরও খবর. জঙ্গিপুরের যে কাস্টমস হাউজ় রয়েছে, সেখানে ১৬ বার এনামুল হকের হয়ে আবদুল লতিফ গরু কেনাবেচার নিলামে অংশ নিয়েছিলেন। সেই গরুও পাচার করা হয়েছিল বাংলাদেশে। পাচারের তথ্য লুকানোর জন্য সাহায্য করতেন লতিফেরই ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী, মন্টু মল্লিক। এই নাম আগেই জড়িয়েছে এই মামলায়। সিবিআই প্রত্যেকের থেকে আলাদা ভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তোলা হয়েছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। গরু পাচার মামলায় গত ৮ অগস্ট সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই নিয়ে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচার মামলায় তিনটি চার্জশিট জমা পড়ে। চার্জশিটে নাম রয়েছে বিকাশ মিশ্র, সায়গল হোসেন ও আবদুল লতিফের।