Recruitment Scam: ফোন করে চাকরির কথা কে বলেছিল? CBI প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল ‘ফোনের মালিকের’ হদিশ

Calcutta High Court: নদিয়ার শিল্পা চক্রবর্তী নামে ওই আবেদনকারীর দাবি, তাঁর কাছে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়েছিল, ওই ব্যক্তি পর্ষদের অফিস থেকে বলছেন।

Recruitment Scam: ফোন করে চাকরির কথা কে বলেছিল? CBI প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল 'ফোনের মালিকের' হদিশ
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 4:03 PM

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অতীতে প্রাথমিকে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে অবশ্য হাইকোর্টের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্ট থেকে, তাঁরাও যাতে নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারেন আদালতের কাছে, সেই সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ২৬৮ জনের মধ্যে একজন। নদিয়ার শিল্পা চক্রবর্তী নামে ওই আবেদনকারীর দাবি, তাঁর কাছে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়েছিল, ওই ব্যক্তি পর্ষদের অফিস থেকে বলছেন। শিল্পাকে বলা হয়েছিল, তিনি যেন পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেন। শিল্পার এমন দাবি শুনে বিষয়টি সিবিআইকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রাথমিক দুর্নীতির সেই মামলায় সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল ফোনের মালিকের হদিশ। ফোন এসেছিল নদিয়া জেলার প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ রায়চৌধুরীর কাছে থেকে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ফোন গিয়েছিল পর্ষদের অফিস থেকে। এদিন সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, শিল্পা এক নম্বর পাওয়ার পর পর্ষদের অফিস থেকে তাঁকে ডকুমেন্টস নিয়ে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর তাঁকে ডাকে পর্ষদ। ওইদিনই ইন্টারভিউ হয়। যিনি শিল্পাকে ফোন করেছিলেন, সেই জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ রায়চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এদিন এই তথ্য আদালতকে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী দুই সপ্তাহ পর এই বিষয়ে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিল্পা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলা। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করার হচ্ছে বলে ফোনে বলা হয়েছিল বলে দাবি শিল্পার। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন কি না। তাঁকে চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি শিল্পার।