Anubrata Mondal: ‘২০ বছরের চাকরিজীবনে এমন দেখিনি’, অনুব্রতর ফাইল দেখে ‘চমকে’ উঠলেন বিচারক
Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি-ও।
আসানসোল: এবারও অব্যাহতি পেলেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ফের তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোল সিবিআই আদালত। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আরও ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল অনুব্রতর হেফাজতের। গত অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে বারবার জামিনের আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।
এদিন আদালতে জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রতর আইনজীবী। তবে দুটি আবেদন করা হয়। ভোলেব্যোম রাইস মিলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তা চালু করার আবেদন জানানো হয়েছে অনুব্রতর তরফে। এছাড়া অনুব্রতর যে দুটি মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী। এদিন মোবাইল দুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় সেগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছেই রয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না। বিচারক জানান, মোবাইল ফেরানোর আবেদন জানানো হলে পরের দিনের শুনানিতে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
তবে এদিন সিবিআই এই মামলায় যে ফাইল আদালতে পেশ করেছে, তা দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠে সিবিআই আদালতের বিচারকের। ফাইলটি উল্টে পাল্টে দেখার সময়, কপালে ভাঁজ পড়ে তাঁর। চশমা পরে নেন তিনি। পরে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে ডেকে তিনি বলেন, ‘আমার ২০ বছরের সার্ভিস লাইফে আমি এমন দেখিনি, শোনা তো দূরের কথা’। সিবিআই কী এমন তথ্য পেশ করল, যাতে এমন অবাক হলেন বিচারক, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
হলুদ পাঞ্জাবী পরে এদিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অনুব্রত। কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্যও এদিন চোখে পড়েছে। ওজন যে বেশ কিছুটা কমেছে, তা চেহারাই বলে দিচ্ছে। আদালত চত্বরে প্রতিবারের মতোই এদিনও ছিল অনুব্রতর অনুগামীদের ভিড়। তবে তেমন কিছু বলেননি কেষ্ট মণ্ডল।