Chingrihata Accident: দুর্ঘটনার পর চিংড়িহাটা-নিকোপার্কের রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শীর্ষ কর্তাদের

Chingrihata Accident: কী উপায়ে গতি কমানো যাবে, তা ঠিক করবে বিধাননগর পুলিশ। এছাড়া সর্বক্ষণ পুলিশের নজরদারিও বাড়াতে বলা হয়েছে।

Chingrihata Accident:  দুর্ঘটনার পর চিংড়িহাটা-নিকোপার্কের রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শীর্ষ কর্তাদের
দুর্ঘটনার পরের ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 12:37 PM

সুজয় পাল: চিংড়িহাটা দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশের কর্তারা। সেখানে বিধাননগর পুলিশকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ফাঁকা সময়ে নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা পর্যন্ত সব গাড়ির গতি কমাতে হবে। গতি কমানোর উপায় বের করতে হবে। মূলত সোজা ও লম্বা রাস্তা থাকায় অনেক গাড়ি বেপরোয়া গতিতে যায়। সে বাইক হোক কিংবা চার চাকা, অনেকক্ষেত্রেই চালক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। কী উপায়ে গতি কমানো যাবে, তা ঠিক করবে বিধাননগর পুলিশ। এছাড়া সর্বক্ষণ পুলিশের নজরদারিও বাড়াতে বলা হয়েছে।

এই জায়গায় সিগন্যালের দূরত্বও অনেক বেশি। প্রয়োজনে স্পিড র‌্যাডার বা আরও সিগন্যাল বসানো যায় কিনা, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে বিধাননগর পুলিশ। প্রসঙ্গত, নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা এলাকা অত্যন্ত দুর্ঘটনপ্রবণ। এমনিতেই ওই এলাকায় দুর্ঘটনা হয়। গত বছরেও একাধিক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে বিধাননগর পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ যৌথ উদ্যোগে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ফুট ওভারব্রিজও তৈরি হয়েছে।

কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা সে অর্থে কমেনি। তার আরও প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার ওই গাড়িটি নিকোপার্কের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, চালক একটি সিগন্যাল মানেননি। তাতে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার হাত দেখিয়ে তাঁর রাস্তা আটকান। কিন্তু লাল রঙা গাড়িটির চালক ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা মেরেই এগিয়ে যান। তখন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বাকি কর্তাদের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করেন। চালক বাঁচতে আরও গতি বাড়িয়ে দেন।

এরপর একটি টাটা সুমোকে ধাক্কা মারে লাল গাড়িটি। মাঝ রাস্তায় উল্টে যায় টাটা সুমোটি। এরপর এক মহিলা পথচারী, এক জন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। আরও একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। এরপর গাড়িটি দাঁড়িয়ে যায়। ৮ জন আহত হন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রাতে একজনের মৃত্যু হয়।