CBI and ED on Narada Case: আপাতত ইডি-সিবিআইকে হাজিরা দিতে হবে না বিধানসভায়
Assembly Speaker: স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধায়কদের ডাকা যায় না, এই দাবি নিয়েই ইডি ও সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে তলব করেছিলেন স্পিকার।
কলকাতা: একবার নয়, একাধিকবার তলব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI)-এর আধিকারিকদের। বিধানসভায় (Assembly) হাজিরা দিতে বলা হলেও প্রথমদিকে হাজিরা দেননি তাঁরা, চিঠি দিয়ে দায় এড়িয়ে যান তাঁরা। পরে অবশ্য হাজিরা দেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সমন পাঠানোর এক্তিয়ার বিধানসভার অধ্যক্ষের আছে কি না, এই নিয়েই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ সেই মামলায় বিচারপতি বলেছেন, আপাতত যাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের আধিকারিকদের সমন না পাঠান অধ্যক্ষ। যদিও অ্যাডভোকাট জেনারেলের (AG) দাবি, সংস্থাগুলিকে সমন পাঠানো হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। এই ব্যাপারে কেন্দ্র আরও কিছু বক্তব্য জানাতে চায় আদালতে। আগামিকাল শুক্রবার দুপুর ২ টোয় ফের রয়েছে সেই মামলার শুনানি।
এ দিনের শুনানিতে সওয়াল-জবাব শোনার পর বলেন, ‘একজন স্পিকারের জন্য কিছু আইন আছে, আবার ইডি ও সিবিআই-এর জন্যও আছে পৃথক আইন। তাই কী করতে হবে না হবে, তা তারা জানে।’ সুপ্রিম কোর্টে একই রকম একটি মামলা আছে বলেও জানান বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আপাতত কোনও সমন পাঠানো যাবে না। তাই এই মামলাতে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রথম দিকে চিঠি দিয়ে দায় সারলেও গত ৪ অক্টোবর অবশেষে বিধানসভায় উপস্থিত হন ইডি, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই আগমন বলে জানান তাঁরা। সিবিআইয়ের ডিএসপি উপস্থিত হন সে দিন। সিবিআইয়ের টিম হাজির হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে ইডির দুই প্রতিনিধিও যান একই দিনে। ওই দিন সকালেই চিঠি দিয়ে এই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি জানিয়েছিল যে তাদের পক্ষে সশরীরে হাজিরা দেওয়া এদিন সম্ভব নয়।
সিবিআইয়ের ডিএসপি এসকে সিংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ জন সিবিআই আধিকারিক গিয়েছিলেন বিধানসভায়। ঢুকেই তাঁরা চলে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘক্ষণ এই কথাবার্তা চলে। প্রায় ৩৫ মিনিট অধ্যক্ষের ঘরে ছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে আবার ইডির আধিকারিকরাও যান বিধানসভা ভবনে। তাঁরাও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে পৌঁছন। একই সময় ছিলেন তাঁরাও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা যায় যে, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে তেমন কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি।
কেন জটিলতা?
নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করে। এরপর ইডির বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছাতে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু অভিযোগ, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। আর এই থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বিধানসভা কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, দুর্নীতি দমন আইন ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী, বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। অধ্যক্ষের দাবি ছিল, বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিধানসভাকে বাদ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসা হয়েছে। এই নিয়েই শুরু হয় জটিলতা।
আরও পড়ুন: Skill India Training: ৪১০৩টি শূন্য পদে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে ভারতীয় রেলওয়ে, দেওয়া হবে স্টাইপেন্ড