Chaos at Newtown: ‘মান সম্মান ডুবিয়ে দেব’, নিউটাউনে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ঘিরে ধরে হুমকি, মার স্বামীকেও

Newtown: পার্কিং নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় সোমবার রাতে। স্থান সাপুরজি।

Chaos at Newtown: 'মান সম্মান ডুবিয়ে দেব', নিউটাউনে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ঘিরে ধরে হুমকি, মার স্বামীকেও
নিউটাউনে ঝামেলা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 11:34 AM

কলকাতা: নিউটাউনের সাপুরজিতে গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসা। তার জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর স্বামীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় অটোচালকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, এদিন ওই দম্পতি সল্টলেক থেকে নিউটাউনে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। সাপুরজির কাছে গাড়ি দাঁড় করাতেই এক অটোচালক এর বিরোধিতা করেন। অভিযোগ, শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। এমনকী তাঁর স্বামীকে মারধরও করেন অভিযুক্ত। ওই অটোচালকের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন দোকানিও যুক্ত ছিলেন বলেই ওই দম্পতির অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টেকনোসিটি থানার পুলিশ।

অভিযোগ, সাপুরজির কাছে ওই দম্পতির গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল। গাড়ির মালিক গাড়ি থেকে নেমে একটি দোকানে গিয়েছিলেন। গাড়িতে সে সময় তাঁর স্ত্রী ও চালক ছিলেন। একটি ট্রাক পিছনে চলে আসে। ট্রাক চালক চার চাকার গাড়িটি সরাতে বললে ওই মহিলা জানান, সামান্য অপেক্ষা করতে। তাঁর স্বামী এলেই বেরিয়ে যাবেন। অভিযোগ, তা ট্রাক চালক মেনেও নেন। এরইমধ্যে এক অটোচালক এসে হম্বিতম্বি শুরু করেন বলে অভিযোগ। তা শুনে স্থানীয় কয়েকজন দোকানিও তেড়ে আসেন।

স্মরণিকা রায় নামে ওই মহিলার কথায়, “১০-১৫ জন ওকে (স্বামীকে) এসে ঘিরে ধরে। আমি সামনে ছিলাম। আমাকেও ধাক্কাধাক্কি করে। একজন মহিলা ছিলেন। উনি আমাকে হুমকি দেন মারবেন। এমনকী মান সম্মান ডুবিয়ে দেবেন বলেও চিৎকার করে হুমকি দিচ্ছিলেন। ওই মহিলার নামে আমি অভিযোগ জানাব। একইসঙ্গে একজন অটোচালকও অকারণে এই ঘটনায় যুক্ত হয়ে ঝামেলা করলেন। তাঁর এ বিষয়ে ঢোকার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। অথচ আমি গাড়ির ভিতর যখন বসে, বলছেন গাড়ি ভাঙচুর করবেন।”

স্মরণিকার স্বামী সদানন্দ রায় বলেন, “পার্কিং নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। আমাকে বলে গাড়ি সরাতে। এদিকে তুমুল চেঁচামেচি করছিলেন এক অটোচালক। আমি তাঁকে বলি, আপনি কেন চিৎকার করছেন? ততক্ষণে আরও কয়েকজন চলে আসেন। হুমকি দিচ্ছেন মেরে দেবেন। একজন সেই ঝামেলায় মদত দিচ্ছিলেন। হঠাৎই গায়ে হাত তুলল। আমার স্ত্রী বেরিয়ে এসেছে, ওর গায়েও এক মহিলা হাত দেন। আমি তখন বলি, মনুষ্যত্ব কি চলে গেল? আমাকে মারছ, কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের গায়ে কীভাবে হাত দিলে? তখন ওই মহিলা সরে যান।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।