Bagtui Massacre: ৮৯ দিন পর জমা পড়ছে বগটুই-কাণ্ডের চার্জশিট, নাম থাকছে না পুলিশ-দমকলের

Bagtui Massacre: বগটুই-কাণ্ডে মৃত্যু হয় ১০ জনের। আগেই এই মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই।

Bagtui Massacre: ৮৯ দিন পর জমা পড়ছে বগটুই-কাণ্ডের চার্জশিট, নাম থাকছে না পুলিশ-দমকলের
বগটুই-কাণ্ডে জমা পড়ছে চার্জশিট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 11:28 AM

কলকাতা : ৮৯ দিনের মাথায় জমা পড়ছে বগটুই-কাণ্ডের চার্জশিট। প্রথম চার্জশিটে ২০ জনের নাম রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তবে পুলিশ বা দমকলকর্মীদের নাম এই চার্জশিটে উল্লেখ থাকছে না বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ও দমকলের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে আলাদা করে তদন্ত চলছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ থাকছে। তাদের ভূমিকা ও নামের উল্লেখ থাকতে পারে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে।

সোমবার রামপুরহাট আদালতে জমা পড়বে সেই চার্জশিট। শুধুমাত্র বগটুই-কাণ্ডে নয়, ভাদু শেখ খুনের মামলাতেও চার্জশিট জমা পড়বে রামপুরহাট আদালতে। গত মার্চ মাসে বীরভূমের বগটুইতে খুন হন তৃণমূলের উপ প্রধাণ ভাদু শেখ। আর সেই ঘটনার দিন রাতেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে পরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন একের পর এক দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

চলতি মাসেই হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছে বগটুই- কাণ্ডে তদন্ত প্রায় শেষের পথে। তদন্তের অগ্রগতির দ্বিতীয় রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে জুন মাসে। বগটুই হত্যাকাণ্ড এবং ভাদু শেখ খুনের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

চার্জশিট পেশ হলেই কারা অপরাধী, সেটা উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বীরভূমের বগটুইতে গত মার্চ মাসে যা ঘটেছে, তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। শাসক দল, পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেন সেই রাতে পুলিশ বা দমকলের কেউ ঘটনাস্থলে পৌঁছল না, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীরা সরব হয় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই।

২১ মার্চ রাতে সেই ঘটনা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। সেই ঘটনার পর রাতেই বগটুইয়ে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবেশীদের অনেকেই দেখেছিলেন সেই নৃশংস ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, শুধু পুড়িয়ে নয়, ধারাল অস্ত্রের কোপও দেওয়া হয় শরীরে। পরের দিন সকালে আটজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। দিন কয়েক পরে আরও একজন মারা যান। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০।