Mamata Banerjee on Missionaries of Charity: ‘বিস্মিত! ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাসুল গুনছে মানবিকতা’

MOC: সোমবার দুপুরে আচমকাই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Mamata Banerjee on Missionaries of Charity: 'বিস্মিত! ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাসুল গুনছে মানবিকতা'
মমতার টুইটে বিতর্ক, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2021 | 9:11 AM

কলকাতা: মাদার টেরেজ়া প্রতিষ্ঠিত ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ ঘিরে যখন দিনভর দাবি, পাল্টা দাবির ঝড় বয়ে চলেছে তখন টুইটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)।

টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমি বিস্মিত! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! তাঁদের সংস্থার প্রায় ২২হাজার রোগী ও কর্মীকে কোনও খাবার ও ওষুধ ছাড়া বের করে দেওয়া হয়েছে। আইন যদি সর্বোপরি হয়ে থাকে, তবে মানবিকতার সঙ্গে আপোস নয়।”

শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, টুইট করেছেন রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর টুইটেও উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্র ২৫ ডিসেম্বর ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এরফলে বিপদের মধ্যে পড়েছেন সংস্থার কর্মীরা।

যদিও, টুইটে এ বিষয়ে জলঘোলা হওয়ার আগেই বিবৃতি পেশ করল মাদার হাউস। জানানো হল, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। বরং, সংস্থার পক্ষ থেকেই সব শাখাকে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন নিয়ে যে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ২৫ ডিসেম্বর সেই ছাড়পত্রের রিন্যুয়াল স্থগিত রেখেছে সরকার। তাই কোনওরকম বিদেশি মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত সংস্থার তরফে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে আচমকাই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই সংস্থা কোনওরকম আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। যদিও, তখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কলকাতার মাদার হাউস কর্তৃপক্ষ।

এরপরেই টুইটে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। কেন্দ্রের নিন্দা করে টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

পরে, গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘এ জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে তৃণমূল।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। টুইটে তিনি লিখেছেন, “মিশনারিজ অব চ্যারিটি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তাহলে কেন এইভাবে একটি ইস্যু তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি কি ভুল তথ্য প্রচার করতে সচেষ্ট?” যদিও শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee on Kanchan Mullick: ‘অ্যাই রূপসী, অ্যাই রূপালী করে ডাকাডাকি চলছে…তৃণমূল বিধায়কের নামে অভিযোগ জমা পড়ছে’