Chief Secretary meeting at Nabanna: আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে দাওয়াই মুখ্যসচিবের
Law and Order situation: বৈঠকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সজাগ করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। কোনওভাবেই যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: রাত পোহালেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভোট রয়েছে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও। তার আগে আজ বিকেলে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আগামীকালের ভোট ছাড়াও ৩০ অক্টোবরের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সজাগ করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। কোনওভাবেই যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য সচিব বৈঠকে জানিয়েছেন, “আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আপনাদের অধীনে যে যে এলাকায় নির্বাচন রয়েছে সেই এলাকাগুলির আইন শৃঙ্খলার জন্য পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করুন। কমিশনের নির্দেশ মেনে চলবেন। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা করার প্রয়োজন হবে, সব করবেন।”
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্র গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহে ভোট হবে ৩০ অক্টোবর। একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, অসম, অন্ধ্র প্রদেশেরও একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে এদিন।
বাংলার ভোট প্রত্যেকবার অশান্তির সাক্ষী থেকেছে। এবারের বিধানসভা ভোটেও রক্ত ঝড়েছে। মাথা ফেটেছে। প্রাণ গিয়েছে। শীতলকুচির ক্ষত এখনও দগদগে। আর এরই মধ্যে আগামিকাল ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনকে ঘিরেও অশান্তির শেষ নেই। সম্প্রতি প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষ, অর্জুং সিংদের। আশে পাশে কোথাও পুলিশ কর্মী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, কেউই ছিল না। বাধ্য হয়ে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন। এইভাবেই বিক্ষোভের মুখ থেকে বের করে আনেন দিলীপ ঘোষকে। সেই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
নির্বাচনী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়েছে রাজ্যের। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট থেকে শুরু করে তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে এখন বঙ্গভোট মানে একটাই পরিচিতি — হিংসা আর রক্তক্ষয়। আর এই লজ্জার পরিণতির মধ্যে যাতে উপনির্বাচনেও না পড়তে হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। তাই আগেভাগে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের ডেকে সতর্ক করে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিকে ভবানীপুরের ভোটের কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই কেন্দ্রে ১৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই সংখ্যাটা আরও ২০ কোম্পানি বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ভবানীপুরেই আগামিকাল টহল দেবে মোট ৩৫ কোম্পানি বাহিনী।