Sarda Scam: সারদা মামলায় ষড়যন্ত্র, প্রতারণার ধারায় বিচার চলবে সুদীপ্ত সেনের, নাম রয়েছে আরও দু’জনের

Sardha Scam: জয়ন্ত বেরার দাবি, সারদা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এবং সারদা রিয়ালিটি ইন্ডিয়া নামে দুই সংস্থায় ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা রেখেছিলেন তিনি।

Sarda Scam: সারদা মামলায় ষড়যন্ত্র, প্রতারণার ধারায় বিচার চলবে সুদীপ্ত সেনের, নাম রয়েছে আরও দু'জনের
আদালতে সুদীপ্ত সেন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 5:21 PM

কলকাতা: সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে আপাতত তিনটি ধারা বহাল রইল। এরমধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র, প্রতারণার ধারা। শুক্রবার এক মামলাকারীর এ সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করে এমপিএমএলএ আদালত। সারদা কেলেঙ্কারিতে জয়ন্ত বেরার অভিযোগের ‘চার্জ হিয়ারিং’ ছিল এদিন। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। জয়ন্ত বেরা সারদার একজন এজেন্ট ছিলেন। তিনি সাঁতরাগাছি থানায় সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন এবং বীরেশ রায় ও সুপ্রিয়া রায় জনৈক দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ৭ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তোলেন এই তিনজনের নামে।

জয়ন্ত বেরার দাবি, সারদা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এবং সারদা রিয়ালিটি ইন্ডিয়া নামে দুই সংস্থায় ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি রেখেছিলেন বীরেশ রায় ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রায় এবং সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কথা বলেই। এদিকে এই টাকা রেখে প্রতারিত হন তিনি। একইসঙ্গে জয়ন্ত বেরার অভিযোগ ছিল, এই সংস্থাগুলিতে টাকা রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অনুপ্রেরণার কাজ করেছিলেন কুণাল ঘোষ ও সোমনাথ রায়ের প্রচার।

জয়ন্ত বেরার বক্তব্য, কুণাল ঘোষ ও সোমনাথ রায়ের নানা জায়গায় ওই সংস্থার নামে প্রচার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল তাঁকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুদীপ্ত সেন, বীরেশ রায়, সুপ্রিয়া রায়, কুণাল ঘোষ এবং সোমনাথ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে এই মামলায় চার্জশিটও পেশ করা হয়। কিন্তু আট বছর পর এই অভিযোগ থেকে কুণাল ঘোষ ও সোমনাথ রায়কে মুক্ত করে দেয় আদালত। তবে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই এখনও চলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে প্রতারণার ধারায় মামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বীরেশ রায় ও সুপ্রিয়া রায়ের বিরুদ্ধে।

সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়ার বেতন ও পিএফ সংক্রান্ত মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। কিন্তু এই মামলাসংক্রান্ত যে তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন তা যে নেই তা কার্যত স্বীকার করে নেন সরকারি আইনজীবীও। এরপরই বিচারক কুণাল ঘোষকে মুক্ত ঘোষণা করেন।