TMC inner clash: পুলিশের মারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাপনরা, দাবি আইনজীবীর
TMC inner clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলি-বোমা চলেছিল বেহালায়। সেই ঘটনার পাঁচ দিন পর গ্রেফতার হন বাপন সহ সাত জন।
কলকাতা : বেহালা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপন সহ সাতজনকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর পুলিশ আদালত। রবিবার সকালে তাঁদের হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই আদালতে পেশ করা হয় তাঁদের। আদালতে বাপনের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ মারধর করেছে অভিযুক্তদের। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিযুক্তরা। বেহালা থানার ওসি ও সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ জানিয়েছেন আইনজীবী।
সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সাতজনকে রবিবার আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেককে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি, অভিযুক্তদের মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রত্যেকদিন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন বিচারক। পুলিশকে আদালতে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।
অভিযুক্ত অর্থাৎ সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, লালবাজার গুণ্ডা দমন শাখা বেহালা থানার হাতে এই অভিযুক্তদের তুলে দেয়। তারপরেই অভিযুক্তদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বেহালা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। আর সেই কারণে অভিযুক্তরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। বেহালা থানার ওসি প্রসেনজিৎ পোদ্দার এবং সাব-ইন্সপেক্টর ইরশাদ আলির বিরুদ্ধে পিটিশন দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে আদালতের ভিতরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে আদালতের অর্ডার সংরক্ষিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বেহালা পূর্বের ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি ছিলেন এই বাপন। তাঁর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। গত সপ্তাহে বেহালার চড়কতলায় যে বোমা ও গুলি চলার ঘটনা ঘটে, তাতে মূল অভিযোগ ওঠে এই বাপনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শিবির। এরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান ঘটনার পর তাঁকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রত্না জানান মমতাই বেহালা থানায় ফোন করে নির্দেশ দেন যাতে বাপনকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর বেপাত্তা হয়ে গেলেও অবশেষে রবিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।