CM Mamata Banerjee: সবাইকে আমরা চাকরি দেব যদি না আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে: মমতা
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রাণে মারা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ হচ্ছে অভিযোগে ইতিমধ্যে অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এবার এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি চাকরি দিতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, “সবাইকে আমরা চাকরি দেব। আইন মেনেই দেব। শত চেষ্টা করেও আটকাতে পারবে না। লড়াই চলছে চলবে। যদি না আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে।” অর্থাৎ এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রাণে মারা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে নাম না করে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। বর্তমানে রাম-বাম এক হয়েছে এবং বাম জমানায় CPM তাঁকে বহুবার প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে দাবি জানিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “আমাকে পেট্রোল বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নন্দীগ্রামে আমি গিয়েছিলাম, গুলি চলেছে। লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করেছিল। ওরাই এখন বিজেপি।”
যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণে মারার চক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর পাল্টা কটক্ষ, “আগে সিপিএম সম্পর্কে এরকম বলত। বিজেপির এতো দীনতা হয়নি যে, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এই সব করতে হবে। এই ধরনের বক্তব্যে আসলে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উচ্চতার খামতি ঘটে।”
এদিন অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কের প্রসঙ্গও বিধানসভায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “উনি নাকি জমি দখল করেছেন! অমর্ত্য সেনের মতো লোক জমি চাইলে আমরা পায়ে অর্পণ করে দিয়ে আসতাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে ওরা ওঁনাকে নিয়েও বলত। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। নয়তো তাঁকে নিয়েও কিছু বলত।” একইসঙ্গে কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।
বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। এদিন বিধানসভায় সেই অভিযোগ খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা সব থেকে ভালো বাংলায়। এপ্রসঙ্গে ত্রিপুরায় সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের অত্যাচার চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ত্রিপুরায় আমাদের বহু মিটিংয়ে লোক যেতে দেওয়া হচ্ছে না।” আবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাবাকে মন্ত্রী করা হলে ছেলে শপথ অনুষ্ঠানে যাননি বলে কটাক্ষ করেন তিনি।