CM Mamata Banerjee: ৩-৪ দিনেই বাংলার ৩০ হাজারেও বেশি ছেলেমেয়েকে নিয়োগপত্র, কোন জেলায় কত জন পাচ্ছেন চাকরি?
CM Mamata Banerjee: কারিগরী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভারতে ২১ জন শীর্ষ স্তরে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বাংলা থেকে।
কলকাতা: বাংলায় ৩০ হাজারেও বেশি ছেলেমেয়েকে চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান। প্রতিশ্রুতি পূরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারিগরী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০ হাজার জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে মমতা ঘোষণা করলেন, ৩০ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়েকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই এই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কারিগর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাকরি দিচ্ছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গ কারিগরী শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ থেকে শংসাপত্র ও নগদ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবারই ১১ হাজার চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা প্লেসমেন্টের সময় আসেননি, তাঁদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে। যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের দ্বিতীয় প্লেসমেন্টের সুযোগ দেওয়া হবে। অনেকে ইতিমধ্যে চাকরি পেয়েও গিয়েছেন।
১৫ তারিখ খড়্গপুরে ৭ হাজার চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তালিকা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, শিলিগুড়িতেও অনুষ্ঠান হবে। পুজোর আগেই চাকরির নিয়োগপত্র।মুখ্য়মন্ত্রীর কথায়, “তিনটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।”
কোন জেলায় কত চাকরি?
- দার্জিলিং ৭৮৪
- কোচবিহার ৯১৭
- আলিপুরদুয়ার ২৬৮
- জলপাইগুড়ি ৭৯৮
- কালিম্পঙ ১৩
- উত্তর দিনাজপুর ৫০৮
- দক্ষিণ দিনাজপুর ৫৫১
- মালদা ৭২৭
- মুর্শিদাবাদ ১৯৮৮
- বাঁকুড়া ১৮৩৮
- পুরুলিয়া ১৯১৯
- বীরভূম ৯৭৯
- পূর্ব বর্ধমান ৮৮০
- পশ্চিম বর্ধমান ৩৫০০
- পশ্চিম মেদিনীপুর ১৭০৭
- পূর্ব মেদিনীপুর ১৩১৯
- ঝাড়গ্রাম ৪৯৫
- উত্তর ২৪ পরগনা ২৫৯৪
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২৪৭৭
- হাওড়া ১১৪১
- হুগলি ১৪০৫
- নদিয়া ১৪৬৭
- কলকাতা ২৪৮৪মোট ৩০৭৬২মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কিলে জোর দেওয়া হচ্ছে। হোম সার্ভিস, সেফ ট্যুরিজম, স্কুলের জামা কাপড় তৈরি (আড়াই কোটি স্কুল ড্রেস প্রয়োজন, তাতে প্রচুর কর্মসংস্থান)- এই ধরনের কাজের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কারিগরী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভারতে ২১ জন শীর্ষ স্তরে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বাংলা থেকে।
বাংলার শীর্ষ স্তরে যাঁরা
সুজিত কর্মকার, মন্দিরবাজার সরকারি আইটিআই থেকে ইলেক্ট্রিশিয়ান ট্রেনিং তিনি হয়েছেন জাতীয় স্তরে প্রথম।
রাহুল ঢালি, জয়নগর ২ সরকারি আইটিআই থেকে ফিডার ট্রেডে সর্বভারতীয় স্তরে তিনি প্রথম।
অরিজিৎ হালদার, ফলতা সরকারি আইটিআই থেকে ইলেক্ট্রনিক মেকানিক ট্রেডে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
রাহুল নস্কর, ক্যানিং এক সরকারি আইটিআই থেকে কম্পিউটার অপারেটর ও প্রোগামিং সহকারি ট্রেডে শীর্ষ স্থান অধিকারী।
জাকির আলি শেখ মন্দিরবাজার থেকে সরকারি আইটিআই ওয়েল্ডার ট্রেডে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম।
মহিলা স্তরে লিপিকা শিকলি পুড়শুড়া সরকারি আইটিআই থেকে ওয়েল্ডার ট্রেডে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
শুভা মণ্ডল পলতা গর্ভমেন্ট আইটিআই থেকে সেলাই প্রযুক্তি ট্রেডে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম হয়েছেন।
তুহিনা মণ্ডল কুলপি সরকারি আইটিআই থেকে ইলেক্ট্রিশিয়ান ট্রেডে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
তহমিনা খাতুন মাগরাহাট ২ সরকারি আইটিআই থেকে ফিডার ট্রেডে প্রথম।
ভারতে ২১ জন শীর্ষ স্তরে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বাংলা থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, টাটা জলপাইগুড়িতে রিইউনিট করছে। ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তাদের বিশেষত্ব, ৬৬ শতাংশ ওখানে মহিলারা চাকরি করেন। বাংলার গত এক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৫ হাজার মেয়েরা চাকরি পেয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ছেলেমেয়েদের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। চাকরি আপনার ঘরের সামনে, আপনাকে ডাকবে। আপনাকে শুধু খোঁজ রাখতে হবে। “