কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে গত এক সপ্তাহে মোড় ঘুরেছে বারবার। চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই-এর হাতে গিয়েছে তদন্তভার। এদিকে, সিবিআই-কে সময় বেঁধে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছু়ঁড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিলোত্তমার বাবা-মা কে আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বললেন, পাশে আছি আপনাদের। সঠিক তদন্ত হবে। রাজ্যপালের কাছে হাত জোড় করে সঠিক বিচারের আবেদন তিলোত্তমার বাবা এবং মায়ের।
পানিহাটিতে তিলোত্তমার বাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গতকালই তিলোত্তমার বাবাকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। খোঁজ খবর নেওয়ার পর বাড়িতে যাবেন বলেছিলেন। সেই কথামতো এদিন তিলোত্তমার বাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
আগামীকাল CISF বাহিনী পৌঁছবে আরজি কর হাসপাতালে। তাদের কী কী কাজ, কোথায় কী আছে, কী কাজ হয়, তা জানতে আজ CISF পুলিশ কমিশনার ও হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে বৈঠক হয়। হাসপাতালে থাকা আউটপোস্টের কী কাজ হবে সেটাও লালবাজার দেখছে।
আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে সিজিও থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের। এর আগে এবিভিপি স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল। তবে আজ কোনও রাজনৈতিক দল নয় জুনিয়র ডাক্তাররা পথে নেমেছেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, আজ তেরোদিন হয়ে গেল আন্দোলন করছেন তাঁরা। কিন্তু এখন তাঁদের মনে হয়েছে এবার স্বাস্থ্য ভবনের কড়া নাড়া প্রয়োজন। বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা গেল পোস্টার। সেখানে লেখা নয় অধ্যক্ষ ‘সুহৃিতা পাল মিসিং’।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, IMA। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরেই দেশব্যাপী রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক ডাকেন RDA সংগঠনের নেতারা। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত অনুযায়ী, এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছে না চিকিৎসক সংগঠন। নজর এদিনের IMA-এর বৈঠকের দিকে।
আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ। হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন সিআইএসএফের নর্থ ইস্ট জোন টু (হেডকোয়ার্টার কলকাতা) এর ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং। ডেপুটি সুপারের সঙ্গে হাসপাতালে ফোর্স ডেপ্লয়মেন্ট নিয়ে বৈঠকে বসেছেন ডিআইজি। কোথায় কোথায় কীভাবে মোতায়েন হবে ফোর্স সেই সংক্রান্ত বিষয়ে। যদিও, ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করতে দিন। আগে আমরা কাজ শেষ করি তারপর সবটা বলব। এখনই কিছু বলা যাবে না।”
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির। টালা থানায় সন্দীপের বিরুদ্ধে নালিশ করতে গেলে পুলিশ এফআইএর (FIR) হিসাবে নেয়নি বলে দাবি তাঁর। পুলিশ শুধুমাত্র লিখিত অভিযোগ জমা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন আখতার আলি। তিনি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। আদালতের কাছে নিরাপত্তা চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সন্দীপকে ঘোষকে তলব কলকাতা পুলিশের। নির্যাতিতার নাম পরিচয় ফাঁসের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, গতকালও তলব করা হয়েছিল সন্দীপকে।
সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে উদ্যোগী রাজ্য। হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি অফিসার নিয়োগ করবে সরকার। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, এসপি, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার ছাড়াও থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তারা। এদের সকলকেই নিরাপত্তা আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘রাতের সাথীর’ পর নারী নিরাপত্তায় বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার
১৪ অগস্ট রাতে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও মব অ্যাটাক হল কীভাবে? পুলিশ কী করছিল? সেই প্রশ্নও উঠেছে শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ক্রাইম সিন’ প্রোটেক্ট করা পুলিশের প্রধান কাজ, এখানে সেটাই করা গেল না।
বিস্তারিত পড়ুন: কেন বলা হল সুইসাইড? ‘ক্রাইম সিন’ রক্ষা করতে পারল না পুলিশ? প্রশ্নের পর প্রশ্নের মুখে কী বললেন সিবল
গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক প্রশ্ন তুলল। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘কেন ছড়িয়ে পড়ল নির্যাতিতার দেহের ছবি?’, আরজি কর মামলায় উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির
নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় অনেক নার্স ও চিকিৎসক হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, হাসপাতালে ও হস্টেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিআইএসএফ মোতায়েন করা হবে।
প্রধান বিচারপতি এদিন শুরুতেই বলেছেন, আরজি করের ঘটনা একটি বিছিন্ন ঘটনা নয়। এটা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়, নারী নিরাপত্তার বিষয়। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা বললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে ওই টাস্ক ফোর্স।
কে প্রথম এফআইআর দায়ের করেছে আমরা জানতে চাই? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন।
কপিল সিবল জানালেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাবার তরফে। ক’টার সময় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। সিবলের উত্তর, রাত ৮:৩০ টায় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, দেহ হস্তান্তরে তিন ঘন্টা পর এফআইআর দায়ের করা হল কেন?
এটা শুধুমাত্র একটি খুনের মামলা নয়। টেরিফিক। গোটা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়। তরুণ চিকিৎসক, ইন্টার্ন, বিশেষত মহিলা চিকিৎসকদের কর্মস্থলে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। কোনও ডিউটি রুম নেই। সুরক্ষার জন্য একটা প্রোটোকল তৈরি হওয়া উচিত। সুরক্ষিত কর্মস্থল তৈরি করা দরকার। মহিলারা যদি কর্মস্থলে যেতে না পারেন, তাহলে সমতা বলে কিছু থাকবে না। শুধু খাতায়-কলমে থাকলে হবে না, এমন প্রোটোকল তৈরি করতে হবে: প্রধান বিচারপতি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে আরজি কর মামলার শুনানি। এজলাসে উপস্থিত রয়েছে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। উপস্থিত আছেন কপিল সিবল, অভিষেক মনু সিংভি সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরুর আগেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করল কলকাতা পুলিশ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট আজকের স্বাস্থ্যভবন অভিযান স্থগিত রাখল। তারা জানিয়েছে, একই সময়ে একটি রাজনৈতিক দলেরও মিছিল আছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের শুনানি রয়েছে। সেখানে কী হয় দেখেই পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করবে।
আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় সিট গঠন করল লালবাজার। ১৫ জন সদস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এই স্পেশাল ইভেন্টিগেশন টিম। কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে এই দল।
এই নিয়ে পরপর পাঁচদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চলেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। মঙ্গলবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। গত জিজ্ঞাসাবাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এই তলব বলে খবর।
তিলোত্তমা-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। রাজ্য ছাড়িয়ে বিদেশেও পথে নেমেছেন ভারতীয়রা। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার তাঁর সম্বন্ধেই বিস্ফোরক তথ্য এল প্রকাশ্যে।
বিস্তারিত পড়ুন: RG Kar: তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণের রাতে R G Kar থেকে বেরিয়ে যান সোনাগাছিতে, ভোরে ‘দিদিকে’ ফোন অভিযুক্তের!
ময়দানে সিবিআই। দুটি দল ভাগ হয়ে দু’দিকে পৌঁছেছে। নির্যাতিতার বাড়ির উদ্দেশ্যে একটি দল গিয়েছে। অপর দলটি পৌঁছেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, কেস ডায়রি ছাড়া পুলিশের কাছে আর কোনও তথ্য প্রমাণ রয়েছে কি না সেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য়ই পৌঁছেছে তারা।
লালবাজারে উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ও চিকিৎসক কুণাল সরকারকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন আইনজীবী রয়েছেন। কিন্তু আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য বাইরে রয়েছেন অনেক আইনজীবী। তাঁদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনজীবীরা। প্রথমে গেটে চেন লাগানো ছিল, পরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ঠিক হয়, পাঁচ জন আইনজীবীকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে।
আজ লালবাজারে তলবে সাড়া দিতে যাচ্ছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার, সুবর্ণ গোস্বামী। আর তাঁদের সঙ্গে দল বেঁধে ডাক্তাররা। ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান।
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে পথে এবার হাইকোর্টের আইনজীবীরা। তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনের প্রতিবাদে মিছিল। মিছিলে রয়েছেন তিন জন প্রাক্তন এজি।
তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনে প্রতিবাদে আন্দোলনের ঝড়। তিন তৃণমূল নেতার নিশানায় আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে বিশিষ্টরা। পথে নামা বিশিষ্টজনেদের নিশানা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দেন উদয়ন গুহ, অরূপ চক্রবর্তী।
ইতিমধ্যেই ৩৭ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। সোমবার সকালে আবারও সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
আরজি কর কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তদন্তকারীদের হাতে তিনি বেশ কিছু তথ্য তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাওয়া বেশ কিছু নথি তাঁর কাছে ছিল। তদন্তের স্বার্থে সেই সমস্ত তথ্য সিবিআইকে দিতে চান তিনি। সেই কারণেই সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশ ছাড়িয়ে এই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এই ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে রবিবার নির্ধারিত ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা ডার্বি। বন্ধ মরসুমের দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবভারতী স্টেডিয়াম চত্বরে, রবিবার (১৮ অগস্ট), যখন দুই দলের ফুটবল সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেই একই সময়ে কলকাতার এই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া আরজি কর হাসপাতাল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে আরজি করে সমস্ত জায়গাতেই রাখা হয়েছে পুলিশ। রয়েছে পড়ুয়া চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চ। হাসপাতালে বাইরে রয়েছে বিশাল পুলিশি ব্যবস্থা। হাসপাতালে ১৬৩ ধারা লাগু।
দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছল বিশেষ সিএফএসএল-এর টিম। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করবে এই টিম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে অভিযুক্তের বিষয়ে বিশদ জানার এবং বর্তমান পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করবে সিএফএসএল টিম।
পথে নেমেছে টলিউড। মিছিলে পরমব্রত, অঙ্কুশ, ঋত্বিক, শ্রাবন্তী, শুভশ্রীরা। টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে আরজি করের পথে তাঁদের মিছিল।
কী বলছেন মদন? বিস্তারিত পড়ুন- ‘আর একটা আরজি কর হলেই….’
আরজি কর-কাণ্ডে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট। আর তার জেরে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে তলব করল লালবাজার। ইতিমধ্যেই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। রবিবারই বিকাল চারটের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে । আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যামামলার তদন্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিস্তারিত পড়ুন: জল গড়াচ্ছে বহুদূর! এবার শাসকদলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে তলব করল লালবাজার
‘তিলোত্তমা’কাণ্ডে তৎপর কলকাতা পুলিশ। দুই বিশিষ্ট চিকিৎসককে লালবাজারের তরফে তলব করা হয়েছে। তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবারই দুই বিশিষ্ট চিকিৎসককে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এদিন হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। অন্যদিকে, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন তিনি এখনও নোটিসই পাননি।
বিস্তারিত পড়ুন: তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের তথ্য নিয়েই সমস্যা, আরজি কর কাণ্ডে দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামীকে তলব, কী ভূমিকা তাঁদের?
কলকাতার নগরপাল এবং সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই । কে আত্মহত্যার কথা বলেছিল পরিবারকে? বিস্ফোরক পোস্ট সুখেন্দুর। আর কী বললেন? বিস্তারিত পড়ুন- ‘সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বিনীত গোয়েলকেও ডেকে পাঠাক CBI’, বলছেন TMC সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়
আরজি কর হাসপাতালের সামনে জারি ১৬৩ ধারা। কোনও জমায়েত, বিক্ষোভ মিছিলে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা। বেলগাছিয়া মোড়, শ্যামবাজারের জন্যও একই নিয়ম। পুলিশ প্রয়োজন পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। সকাল থেকেই অন্যদিনের থেকে তুলনায় বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন আরজি করের সামনে। বিস্তারিত পড়ুন- আন্দোলনে রাশ টানতে ‘মরিয়া’ পুলিশ, ৭ দিন আরজি কর লাগোয়া রাস্তায় করা যাবে না প্রতিবাদ
‘একজন নয়, জড়িত রয়েছেন একাধিক…।’ এমনই সন্দেহ তিলোত্তমার মা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। ‘ভিতরের লোক জড়িত না থাকলে এতবড় অপরাধ সম্ভব নয়।’ যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি একা যৌন হেনস্থা ও খুন করতে পারেন না। নিশ্চিত ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। দাবি তিলোত্তমার মায়ের।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আমার মেয়ে সেমিনার রুমে রয়েছে অভিযুক্ত জানল কীভাবে? ভিতরের কেউ রয়েছে, শুনে ম্যাডাম মাথা নিচু করে…’
এবার ‘তিলোত্তমার’ ‘বিশেষ বন্ধুকে’ তলব করল সিবিআই। শুধু তাই নয়, তাঁর পাশাপাশি আরও দুই বন্ধুকেও ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিস্তারিত পড়ুন: RG Kar: কী কথা হয়েছিল ওই রাতে?, CBI-এর ডাক পেলেন নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধু
তদন্তভার পাওয়ার পর এই নিয়ে পরপর চারবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেল সিবিআই। শনিবার সকালে চতুর্থবার হাজির হলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে থ্রিডি স্ক্যানার মেশিন। আধুনিক প্রযুক্তির এই মেশিন ঘটনাস্থল থেকে সূক্ষ প্রমাণও সংগ্রহ করতে পারে।
আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিকিউরিটি সুপারভাইজার-সহ ১০ জনকে তলব করল সিবিআই। ঘটনার রাতে কোন কোন রক্ষী কর্মরত ছিলেন। কার কোন কোন ফ্লোরে ডিউটি ছিল, তা জানতে ডিউটি রোস্টার নিয়ে সুপারভাইজারকে তলব করেছে সিবিআই। যে দুই অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীকে আগেই হাসপাতালের তরফে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাদেরকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে দেশব্যাপী চিকিৎসকদের ২৪ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। চালু থাকছে শুধুমাত্র এমার্জেন্সি সার্ভিস। আইএমএ-র দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে, হাসপাতালগুলিতে বিমানবন্দরের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। রবিবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত চলবে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। মূলত ওপিডি এবং ইলেকটিভ সার্ভিস বন্ধ থাকছে।
আরজি করে তিলোত্তমার মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভকারীদের একাংশ অভিযোগ তুলছিলেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। পরে তিনি অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দিলেও, বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। শুক্রবার দুপুরে মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিকরা।
বিস্তারিত পড়ুন: রাত জাগিয়ে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে CBI, মাঝ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত
বিজেপির কর্মসূচিতে কার্যত অবরুদ্ধ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সুকান্ত মজুমদারের। রাস্তায় বসে চলছে প্রতিবাদ।
আরজি করে চিকিৎসকর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি নিয়েই মিছিলে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়েছে তদন্তভার। আগামী রবিবার পর্যন্ত সিবিআই-কে সময় দিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, রবিবারের মধ্য়েই ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। মিছিলে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী জুন মালিয়া, মহুয়া মৈত্র, নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়, শশী পাঁজা, অদিতি মুন্সী প্রমুখ।
সন্দীপ ঘোষের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল বলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন সন্দীপের আইনজীবী। ডাকলেও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি সন্দীপ। তাই তাঁকে মাঝপথে ধরে সিবিআই।
বিস্তারিত পডুন: মাঝ রাস্তা থেকেই সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও সিবিআইয়ের
শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় শুরু হয়েছে বিজেপির প্রতিবার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশেষ বাহিনী। কাঁদানে গ্যাস নিয়ে হাজির হয়েছে পুলিশ।
বিস্তারিত পড়ুন: চ্যাংদোলা করে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতাদের, শ্যামবাজারে নামল র্যাফ, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে এল পুলিশ
আরজি করে ১৪ অগস্ট হামলার ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের ইনটেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিজেদের পুলিশকে যারা রক্ষা করতে পারেনি, কীভাবে চিকিৎসকরা কাজ করতে পারবেন বলে আশা করা যায় সেখানে? আরজি করের হামলা নিয়ে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে হাইকোর্টে। তাই আলাদা করে অতিরিক্ত লিস্ট দেওয়া হয়েছে এই মামলার জন্য।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘পুলিশের ইনটেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ’, হাইকোর্টের তোপে কলকাতা পুলিশ
এদিন, আরজি কর হাসপাতালে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ফরেনসিক এক্সপার্টও আছেন। কয়েকজন ছাত্রকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় কথা বলার জন্য। যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের মধ্যেই কয়েকজনকে কথা বলার জন্য ডাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। রাতে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরোন সিবিআই আধিকারিকরা। CGO কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরজি করে যারা আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ, তাঁদের বহিরাগত রাজনৈতিক লোক বলে দাবি করলেন মমতা। “আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তাতে আমি ছাত্রছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক যারা বাংলায় অশান্তি করতে চান, বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে এই গন্ডগোলটা করেছেন। আমার সবথেকে খারাপ লাগছে, ঘটনাটা দুঃখজনক। আমি তো কাল মিছিল করব ফাঁসির দাবিতে। তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক। আমরা রবিবারের মধ্যে শেষ করব ঠিক করেছিলাম। কোর্ট যখন সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে, তখন ওদের সহযোগিতা করব। সমস্ত ডকুমেন্ট দিয়েছি।”
অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা দায়িত্ব পালন করলেন না। এই মর্মে অধ্যক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিকিৎসক ছাত্ররা। এক চিকিৎসক বলেন, “ম্যাসাকার হয়েছে। সিপি যখন এসেছে, তখন সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তিনি বলে গেলেন মিডিয়া প্রচার চালাচ্ছে। মিডিয়া তো আর প্রোটেকশন দেবে না, পুলিশ তো দাঁড়িয়ে দেখল! আমরা কী করতে পারি? পালিয়ে শেল্টার নিলাম। কে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?”
এক মহিলার উপর নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার রাতে পথে নেমেছিলেন লক্ষ-লক্ষ মহিলা। কলকাতা তো বটেই, সারা রাজ্যের মহিলারা রাতের দখল নিতে নেমেছিলেন রাস্তায়। আরজি করেও ছিলেন মহিলারা। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই একদল দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ভিতরে। তছনছ করে দেয় গোটা এমার্জেন্সি বিভাগ। মারধর করা হয় নার্সদের। বাদ যায়নি চিকিৎসক থেকে পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ওই দুষ্কৃতীরা বলে গিয়েছে, রাতের দখল নিতে দেবে না মহিলাদের। গতকাল দেখে গিয়েছে। আজ ফের হামলা করবে তারা। নার্সিং সুপার পরিষ্কার জানিয়েছেন, “এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। রাতের দখল নিতে দেবে না সেটাই জানিয়ে গেল।”
বিস্তারিত পড়ুন: RG Kar: ‘ওরা বলে গেছে আজ আবার আসবে’, ফের হামলার ভয়ে কুঁকড়ে নার্সরা
পুলিশের তরফে লেখা হয়, “গত রাতে আরজি কর হাসপাতালে হানা দিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তার ও ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালায় পাঁচ থেকে সাত হাজার জনের একটি বাহিনী। হাসপাতালের একাংশে ভাঙচুর করে তারা। আমরা গর্বিত ডিসি (নর্থ) সহ ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত আমাদের সহকর্মীদের জন্য, যাঁরা সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে কম থাকা সত্ত্বেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত ক্ষমতায় হামলাকারীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যান। যতক্ষণ না অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত হয়েছেন আমাদের বহু সহকর্মী, এঁদের মধ্যে কারোও কারোও আঘাত গুরুতর।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেছি…’, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাল কলকাতা পুলিশ
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎই আরজি কর হাসপাতালে পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙে কয়েক হাজার দুষ্কৃতী। আন্দোলনকারীর বেশেই হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই নিশানা করা হয় এমার্জেন্সি বিল্ডিং। গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শুরু করে দ্বিতীয় তল পর্যন্ত ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। এমার্জেন্সি ওয়ার্ড, নার্সিং স্টেশন ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সেমিনার হল, যেখানে তিলোত্তমার উপরে নারকীয় অত্যাচার হয়েছিল, সেখানেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তবে ওই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি হামলাকারীরা।
বিস্তারিত পড়ুন: লক্ষ টাকার ওষুধ নষ্ট, ভাঙা নার্সিং স্টেশন, এমার্জেন্সিতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, RG Kar-এ গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো ছবি
রাত দখল-কে ঘিরে ধুন্ধুমার। আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলা। কার্যত তাণ্ডব চালানো হল হাসপাতালের ভিতরে। ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে এক দল জনতা। হাসপাতালের ভিতরে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ধর্মঘটের ডাক। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই(সি)।
বিস্তারিত পড়ুন: আরজি করে হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক, আজ দুপুরে প্রতিবাদ মিছিল
মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হল একজনকে। তাঁকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সূত্রের খবর, ডিসি নর্থের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে চিকিৎসাধী তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও জ্ঞান ফেরেনি।
এক পুলিশকর্মীর মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরতে দেখা গিয়েছে, কারও মাথায় চোট লেগেছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলা জুড়ে হওয়া প্রতিবাদ থেকে গোটা দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই কি এই পরিকল্পনা?
বিস্তারিত পড়ুন: পড়ে আছে পুলিশের পোড়া ইউনিফর্ম, পোড়া গন্ধ এমার্জেন্সিতে, মাঝরাতে মব অ্যাটাকে কারা ‘টার্গেট’?
আরজি করে ঢুকে কে বা কারা ভাঙচুর চালাল, বিনা বাধায় কারা মারধর করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের ভিতরের আসবাব। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস অভিষেকের।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘রাজনীতির রঙ দেখা হবে না’, মধ্যরাতেই সিপি-কে ফোন অভিষেকের
আরজি করে গিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সংবাদমাধ্যমকেই কার্যত দায়ী করলেন তিনি। বললেন, “আমরা সব করেছি। প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। শুধু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পরিবার যা চাইছে, তাই করা হচ্ছে। আমরা কোনও ভুল করিনি।” সংবাদমাধ্যমের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, “আমরা কখনও বলিনি একজনই অভিযুক্ত। এগুলো রটানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। সবার সঙ্গে স্বচ্ছতা রেখে চলছি। মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা যথেষ্ট রেসপন্সিবল। প্রমাণ লোপাট, প্রমাণ লোপাট বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কীসের প্রমাণ লোপাট?”
আরজি করে ভাঙচুর শুরু হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। আহত হয়েছে পুলিশও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলেও পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ। এক চিকিৎসক বলেন, “ধরনা মঞ্চের সামনে হঠাৎ মব অ্যাটাক হয়। সব ভেঙে দেয়। পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশের যার যার নম্বর ছিল, তাদের সবাইকে ফোন করেছি। কেউ ফোন তোলেনি।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আমরা অন্ধকারে লুকিয়ে আছি… জানি না বাঁচব কি না’, ভেঙে ফেলা হল TV9-এর ক্যামেরা, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ!
রাতের শহরে মিছিল চলছে দিকে দিকে। আচমকাই আরজি করে বদলে গেল পরিস্থিতি। ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ল একদল মানুষ। তারপর পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল হামলা। কার্যত পালিয়ে বাঁচল পুলিশ। উল্টে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি। ভাঙচুর চলল একাধিক জায়গায়। অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন দুই মহিলা। কার্যত হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি।
তিলোত্তমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে শিউরে উঠছে গোটা বাংলা। রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাতের রাস্তায় সামিল হয়েছেন সবাই। কোনও প্রতিবন্ধকতাই আজ বাধা নয়।
শহর থেকে প্রতিবাদ ছড়িয়েছে গ্রামে। রাত বাড়ছে। মশাল হাতে পথে নামছেন মহিলারা। পা মেলাচ্ছে পুরুষেরাও। তিলোত্তমার জন্য গলা বুজে আসছে মায়েদের। অনেকেই বলছেন, তাঁদের সন্তানের জন্য ভয় হচ্ছে, তাই আজ পথে নেমেছেন তাঁরা।
রাত যত বাড়ছে, রাস্তায় প্রতিবাদী মানুষের ভিড় বাড়ছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বহু মানুষ পথে নেমেছেন। তাঁরা প্রশ্ন করছেন, রাত কেন দখল করতে হবে আলাদা করে? কেন নারীদের অধিকার থাকবে দিনের প্রতিটি মুহূর্তে? কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়, প্রতিবাদের স্লোগানে মুখর হচ্ছে রাজপথ। পা মেলাচ্ছেন পুরুষরাও।
হুগলির জিরাট, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর, বীরভূমের রামপুরহাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে শুরু করে যাদবপুর, নিউ টাউন, কলেজ স্ট্রিটে একে একে পথে নামছেন মহিলারা। মোমবাতি জ্বালানো হচ্ছে পথে। কোথাও ছবি আঁকছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এবার পথে নামছেন খোদ মমতা। আজ, বুধবার প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, আগামী ১৬ অগস্ট বেলা তিনটের সময় মৌলালি মোড়ে জমায়েত হবে।
সবিস্তারে পড়ুন: রবিবারের মধ্যে ফাঁসির ব্যবস্থা করুক CBI, এবার পথে নামবেন খোদ মমতা
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বললেন, “আমার সঙ্গে পুলিশ কমিশনার কথা বলেছেন। সারারাত আমি ঘুমাইনি। এক মাসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। বারো ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পনেরো দিন নয়, ২১ দিনের ছুটির আবেদন সন্দীপ ঘোষের। লম্বা ছুটিতে যাওয়ার কথা বলেছিল হাইকোর্ট। তারপরই কি এই সিদ্ধান্ত সন্দীপের?
R G KAR মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।
ঘটনার দিন কারা ডিউটিতে ছিলেন? কে কী করছিলেন সেই সংক্রান্ত নথি তলব। কমিশনের সঙ্গে কথা বলছেন বিভাগীয় প্রধান,নার্সিং সুপার-সহ অন্য চিকিৎসক কর্মীরাও।
আটঘাট বেঁধে নেমেছে সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠক স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিআইজির। খুনের মোটিভ খুঁজে বের করার নির্দেশ। তিলোত্তমাকে কত দিন টার্গেট করেছিল অভিযুক্ত? এই ধরনের নানা প্রশ্ন সামনে আসছে।
মঙ্গলবারই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। রাতেই টালা থানা থেকে কেস ফাইল সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। আজ সকালে দিল্লি থেকে এল সিবিআই-র টিম। জানা গিয়েছে, তাদের সঙ্গে রয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।
আরজি কর কেসে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতা আসছে সিবিআইয়ের টিম। সূত্রের খবর, আসছে তাদের নিজস্ব ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাখিল করলেন ক্যাভিয়েট। সিবিআই তদন্তের বিষয় নিয়ে ক্যাভিয়েট দখিল করলেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই এই ক্যাভিয়েট শুভেন্দু অধিকারীর।
আরজি করে নতুন করে উত্তেজনা। বাম-ছাত্র যুবদের উত্তাল ক্যাম্পাস। আরজি করে সেমিনার রুমের পাশে সংস্কারের কাজ চলছে। সেই খবর আগেই উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যম। তাহলে কী তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতেই তড়িঘড়ি সংস্কার? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘কোনওভাবেই আমরা প্রমাণ লোপাট করতে দেব না।’
টালা থানায় সিবিআই। সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের সার্টিফাইড কপি নিতে থানায় এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বস্তুত, আজ রাজ্যপুলিশের হাত থেকে এই মামলা সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তর করে হাইকোর্ট।
“পুলিশের জবাবদিহি করার প্রয়োজন রয়েছে। কেন নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তখনই এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ঘোষণা করল? কিসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা? কেন মৃতার পরিবারকে ফোন করে জানানো হল সে আত্মহত্যা করেছে? কার নির্দেশে এমনটা করেছে? কেন পুলিশ তড়িতড়ি এত ব্যস্ত হয়ে উঠল ময়নাতদন্ত করার জন্য?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় চেয়েছিলেন রবিবার পর্যন্ত। তার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতো ১৫ দিনের ছুটিতে গেলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
প্রধান বিচারপতি– প্রিন্সিপাল যদি নিজেই বলেন এটা সাইকোসিস। তাহলে খুব সিরিয়াস। ওঁকে একটা হলফনামা দিতে বলব? সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেন মরালিটি দেখিয়ে, আর আশ্চর্যজনকভাবে রিওয়ার্ড দিয়ে বিকেলে অন্য জায়গায় বসানো হল।
রাজ্য– আমরা হলফনামায় আপত্তি করছি না। ৩৫ জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি– কীভাবে একজন ইস্তফা দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত আনা হয়। আপনি কি এত পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার যদি নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকে তাহলে আর কার থাকবে? কোনও মানুষ আইনের উর্ধ্বে নন।
প্রধান বিচারপতি- সন্দীপ ঘোষের ইস্তফা পত্র এবং নতুন নিয়োগ পত্র আনতে হবে। আমরা দেখতে চাই পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন ওই প্রিন্সিপাল।
প্রধান বিচারপতি– আশঙ্কা করা হচ্ছে যত দেরি হবে, প্রমাণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
রাজ্য– আমরা মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় চাইছি, রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।
ফিরোজ এডুলজি (আইনজীবী)- কেস ডায়েরি আনা হোক। সেটাই এই মামলার হার্ট। কামদুনিতে আমি আইনজীবী ছিলাম। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমান পুলিশ কমিশনারকে কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠানো হোক। তিনি এই ঘটনার তদন্ত করছেন। কোনও রিপোর্টের দরকার নেই। কেস ডায়েরি দরকার।
বিকাশ ভট্টাচার্য- ময়না তদন্তে বাবা মা ছিলেন। তাদের প্রাথমিক ভাবে মনে হয়নি এটা একজনের কাজ।
প্রধান বিচারপতি– প্রশ্ন উঠছে এটা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়।
রাজ্য- এটা সত্যি নয়। পরিবারের যা যা দাবি ছিল সব মেনে নেওয়া হয়েছে। কিছু লুকোনো হচ্ছে না”।
কৌস্তভ বাগচি– শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবা মাকে জানানো হয়নি।
বিল্বদল ভট্টাচার্য– এখন বলা হচ্ছে সিবিআই তে আপত্তি নেই। ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে যে যে তথ্য এসেছে তাতে মাত্র চল্লিশ মিনিটে সম্ভব নয়। এখন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে এনকাউন্টারের কথা বলা হচ্ছে। আশঙ্কা করছি তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি- এটা কি সত্যি যে আত্মহত্যা হয়েছে বলা হয়.? কে বলেছিল?
বিকাশ ভট্টাচার্য (আইনজীবী)- সকাল সাড়ে ১০টায় বলা হয় মেয়ে অসুস্থ। তারপর ১৫ মিনিট পর বলা হয় আত্মহত্যা করেছে। চিকিৎসকরা বলতে পারবেন কী হয়েছে। তিন ঘন্টা বসিয়ে রাখার পর দেহ দেখতে দেওয়া হয়। আনকভার শরীরে তাঁরা দাগ দেখতে পান। এরপর পুলিশ বলে এই বিষয়টা মিটমাট করে নেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন সিবিআই করা যায়। চিটফান্ডে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার নিজেই প্রমাণ নষ্ট করেছিলেন। এখানেও তাই হবে। তাই এই মুহূর্তে সিবিআই হোক।
প্রধান বিচারপতি- যদি প্রথমে বলা হয় আত্মহত্যা তাহলে কিছু মিসিং আছে।
রাজ্য- পুলিশ ফোন করেনি। হাসপাতাল ফোন করেছিল।
প্রধান বিচারপতি– ওই নির্যাতিতা সিস্টেমের অঙ্গ ছিলেন। কোনও রোগী ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন অভিভাবকে? জেলবন্দি রোগীর মতো আচরণ করবেন না। একটু সহানুভূতি নিয়ে দেখুন।
সোমবার আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরপরই ঘোষণা করা হয়, ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করা হল সন্দীপ ঘোষকে। সন্দীপের এই নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয় নতুন করে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রতিবাদে তপ্ত হচ্ছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (CNMC)। সেখানেও নয়া প্রিন্সিপালকে দায়িত্ব নিতে দিতে চাইছেন না পড়ুয়ারা। এক সন্দীপ নামেই ফুঁসছে আরজি কর থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বর্ণকমল সাহাকে ঘিরে বিক্ষোভ। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান।
‘আন্দোলনকারীরা যা চায়, আমিও তাই চাই’, দায়িত্ব গ্রহণ করে বললেন আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল।
তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনের ঘটনায় তৎপর পুলিশ। তলব করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে। জানা যাচ্ছে, তিনিই প্রথম মৃতার পরিবারকে ফোন করেছিলেন। আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগীয় প্রধানকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি চার জুনিয়র ডাক্তারকেও তলব করেছেন তদন্তকারীরা। সেদিন রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, সেই সমস্ত নার্সিং স্টাফ, নিরাপত্তারক্ষী ও গ্রুপ-ডি স্টাফকেও তলব করা হয়েছে।
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। আর সেই মৃত্যুই কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি একাই অভিযুক্ত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলছেন ‘তিলোত্তমা’র বাবাও।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে সবাই একই কথা বলছে…’, কাদের সন্দেহ করছেন ‘তিলোত্তমা’র বাবা?
আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতি চলবে। সোমবার জেনারেল বডির মিটিং-এর পর এমনটাই জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি ১৪ অগস্টের মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
তাঁদের আরও দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে হবে।
পানিহাটির ডাক্তারি ছাত্রীর বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল যায়।
আজই ইস্তফা দিয়েছিলেন। আজই আবার ফিরে পেলেন পদ। কথা হচ্ছে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে। আরজি করের পদ ছাড়ার পর ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হলেন তিনি। আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ হলেন সুহৃতা পাল।
কলকাতা: আরজি করে নৃশংস ঘটনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। পিজিটি ডাক্তার ‘তিলোত্তমা’র নৃশংস খুনের ঘটনায় ফুটছে রাজ্য। তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। লালবাজারে গিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা।
বিস্তারিত পড়ুন: RG Kar: আরজি করে নৃশংস ঘটনায় এবার আসরে জাতীয় মহিলা কমিশন
আর জি করের ‘প্রাক্তন’ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এবার, তিলোত্তমার ঘটনার পর, যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, ভয়াবহতা-নৃশংসতার আঁচ যখন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি উঠেছে চরমে। আর ক্রমেই সেই দাবি জোরাল হয়েছে। হাসপাতালের ঘরে-বাইরের চাপে শেষমেশ ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রেস মিট করে স্বাস্থ্যভবনে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য তিনি যখন রওনা দিচ্ছিলেন, তখন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্তের ওপরেই ক্ষোভ উগরে দিলেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আদা জল খেয়ে পড়েছিলে, আজ তুমি খুব শান্তি পাবে’, ইস্তফা দিয়েই TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকার’ অধ্যক্ষ সন্দীপের
১) “যে দিন ঘটনা ঘটে সেদিন আমি ঝাড়গ্রামে ছিলাম। পুলিশ কমিশনার খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি এটা নক্কারজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনা। অভিযুক্তের যেন শাস্তি হয়। আমি চাই ফাস্ট-ট্রাক কোর্টে হোক। তাহলে বিচার তাড়াতাড়ি হবে। তাতে আমরা ফাঁসির দাবি জানাব। কিছু লোক সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে এখনও রয়েছে। মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া যে কত বড় অপরাধ। আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে ওখানে নার্স, সিকিউরিটি সকলে ছিল। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। আমি পুলিশকে বলেছি। বাবা মাও বলেছেন ওদের ভিতরে কেউ আছে।”
২) “যদি ভিতরে কেউ থাকে, কারও প্রতি সন্দেহ হয়। যাঁরা ওঁর বন্ধু-বান্ধব তাঁদের ডেকে কথা বলবে এবং যিনি প্রথম বাড়িতে ফোন করেছিলেন তাঁকেও ডেকে কথা বলবে।”
৩)”আজ অধ্যক্ষ নিজেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। উনি বলছিলেন যে আমার বাড়িতেও বাচ্চারা আছে। আমায় গালিগালাজ করছে। আমরা ওনাকে বুঝিয়ে বলেছি ঠিক আছে কাজ করতে হবে না। আমরা ওনাকে সরিয়েছি অন্য জায়গায়। আমরা ওইখানে এমএসভিপি-কে সরিয়েছি। হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের হেড অব দ্যি ডিপার্টমেন্টকেও সরিয়েছি। পুলিশ পোস্টের যে এসিপি ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দিয়েছি। সবাইকে সরানো হয়েছে। ডগস্কোয়্যাড ও ফরেন্সিক সকলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। যাতে খুনি গ্রেফতার হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।”
৪) “আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি পারে দোষীদের গ্রেফতার করুক। যদি রবিবার পর্যন্ত না পারে, কারণ ভিতরেও তো অনেকে আছেন…। তাই এই কেসটা তখন আমরা আর নিজেদের হাতে রাখব না। সিবিআইকে দিয়ে দেব। তার কারণ আমার এতে লেনাদেনা কিছুই নেই। আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছি।”
৫)”সিবিআই-এর সাকসেস রেট কম। তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা আজ অবধি বিচার পায়নি। নন্দীগ্রামে যখন ১৪ জন গুলিতে মারা যাওয়ার কেস আজও সিবিআই সলভ করেনি। রিজওয়ানুর ইস্যু, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির বিচারও করতে পারেনি। তবুও, মানুষের সন্তুষ্টির জন্য, অনেকেই হয়ত ভাবতে পারে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যদিও কলকাতা পুলিশ হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুলিশ। তবুও যদি কেস সলভ না হয় তাহলে ওদের হাতে তুলে দেব।”
‘পুলিশ ছিল, সবাই ছিল। তারপরও কী করে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।’ নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে এ কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ভিতরের কেউ আছে বলেই সন্দেহ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। তদন্তের কিণারা করার জন্য পুলিশকে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
শক্রবার সকালে তিলোত্তমার ধর্ষণ করে খুনের বিষয়টা সামনে আসার পর থেকেই আরজিকরের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠছিল একাধিক অভিযোগ। চাপের মুখে শেষমেশ ইস্তফা দেন আরজিকরের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু পদত্যাগের সময়েও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন তিনি। তিলোত্তমা-র প্রকৃত নাম একাধিকবার মুখে নিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাও আবার প্রেস মিট করার সময়েই। অভিযোগ উঠছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশও জানেন না সন্দীপ ঘোষ।
ইস্তফা দেওয়ার সময়ে আরজি করের অধ্যক্ষের উবাচ
১. “কেউ বাধ্য করেননি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি”
২. “আমার সঙ্গে কোনও মন্ত্রী, কোনও সিনিয়র অফিসারের কথা হয়নি। কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়নি। এটা আমার নিজের দায়িত্ব।”
৩. “আমার কাছে বদলি সংক্রান্ত কোনও তথ্য নোটিস নেই। আমি নিজে থেকেই পদত্যাগ করছি।”
৪. “এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার হয়েছে, (ওঁ নির্যাতিতার নাম বলেছেন) তিলোত্তমা একা ছিল কেন, তিলোত্তমা ( (ওঁ আবারও নির্যাতিতার নাম বলেছেন)) আত্মঘাতী হয়েছেন, এগুলো আমি কখনই বলিনি। আমার নামে মিথ্যা রটেছে।”
৫. “ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব।”
৬. “আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম।”
পানিহাটিতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাড়ি পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ১টা নাগাদ ওই মহিলা চিকিৎসকের বাড়ি পৌঁছন তিনি।
সোমবার মৃত মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার বাড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।