Presidency University: ‘মুক্তচিন্তার’ প্রেসিডেন্সিতে নীতি পুলিশি? ঘনিষ্ঠভাবে কথা বললেই পড়ুয়াদের বাড়িতে যাচ্ছে চিঠি?
Presidency University: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্সির এক পড়ুয়া বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু জায়গায় ঘনিষ্ঠভাবে কথোপকথন করলে কর্তৃপক্ষের নজরদারির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগ ঘিরেই জোর শোরগোল ক্যাম্পাসে।
কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) ঘনিষ্ঠভাবে কথা বললে কর্তৃপক্ষের চিঠির মুখে পড়তে হচ্ছে। চলছে নজরদারি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উঠছে নীতি পুলিশির অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা বসলেই তাঁদের বাড়িতে চিঠি যাচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। যা নিয়ে শোরগোল গোটা ক্যাম্পাসে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফতোয়া জারিরও অভিযোগ সামনে এসেছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও রাশ টানছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। উঠে আসছে এমন অভিযোগও।
যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্সির কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অরুণকুমার মাইতি বলছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নীতি পুলিশি করার কোনও ইচ্ছা নেই। সম্প্রতি আমরা কিছু পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে কাউন্সিলিং সেশনের আয়োজন করি। সেখানে প্রেসিডেন্সির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু পড়ুয়ার ব্যক্তিগত মুহূর্ত যাপনের প্রসঙ্গ ওঠে।” তবে পড়ুয়াদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার বিষয়েও তাঁর কিছু জানা নেই বলে তিনি জানাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্সির এক পড়ুয়ার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু জায়গায় ঘনিষ্ঠভাবে কথোপকথন করলে কর্তৃপক্ষের নজরদারির মুখে পড়তে হচ্ছে। যা নিয়ে গোটা ক্যাম্পাসে চলছে চাপানউতর। এসএফআই নেত্রী আনন্দরূপ ধর বলছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন গণতান্ত্রিকভাবে নানা রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল করে এসেছি। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেটাই এখন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা জানি রাজ্য সরকার চায় ছাত্রছাত্রীরা কথা না বলুক। তাঁরা চায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এখানে ইউনিয়নের ক্ষমতা দখল করুক। খর্ব হোক পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু, প্রেসিডেন্সি মুক্তচিন্তার জায়গা। সেই জায়গাতে আমরা নষ্ট হতে দেব না।”