Partha Chatterjee Arrested: CBI-কে ম্যানেজ? পার্থকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য দিলীপের
ED Raids: দিলীপ ঘোষ বলেন, "এভাবে বলে-কয়ে বহু সিবিআই অফিসারকে ম্যানেজ করে ওনারা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল ববি হাকিম বলেছিলেন, হাইকোর্টের আদেশে তো সিবিআই তদন্ত করছে, ইডি কেন এসেছে। মানে, সিবিআইকে ম্যানেজ করা হয়ে গিয়েছিল।"
কলকাতা : ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই কড়া প্রতিক্রিয়া শানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সবার আক্রমণের নিশানায় এখন তৃণমূল। আর এরই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এভাবে বলে-কয়ে বহু সিবিআই অফিসারকে ম্যানেজ করে ওনারা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল ববি হাকিম বলেছিলেন, হাইকোর্টের আদেশে তো সিবিআই তদন্ত করছে, ইডি কেন এসেছে। মানে, সিবিআইকে ম্যানেজ করা হয়ে গিয়েছিল। মাঝখান থেকে ইডি বেরিয়ে এসেছে। তাই গড়বড় হয়ে গিয়েছে।”
রাজ্যের শাসক শিবিরের দিকে আক্রমণের সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। সেই টাকা এক জায়গায় নেই। সেই টাকা নেতা-পার্টি-পুলিশ-সিবিআই পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তাই আমরা এত চেষ্টা করে, লড়াই করে, সিবিআইকে ঘেরাও করেও কোনও ফল আসছিল না। আমার মনে হয় সেই মেঘ কেটে গিয়েছে। সবে শুরু হয়েছে। বাংলার সাধারণ মানুষ, যাঁরা বঞ্চিত, সেই দুঃখ থেকে মানুষ মুক্তি পাবেন। যতদিন না এর শেষ হচ্ছে, ততদিন যেন ইডি না আটকায়। এর শেষ দেখে যেন ছাড়ে।”
এর পাশাপাশি একটি টুইটও করেছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের দুর্নীতির সাগরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হলেন গভীর জলের মাছ।”
1.1 Partha Chatterjee is a fish of deep waters in the lake of corruption of TMC.
Not only 21 crores of money were stashed in the house of a close aide(lady), but also a huge property in Shantiniketan with several flats in the name of another close aide(lady) found. pic.twitter.com/h9ZaNNasLZ
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) July 23, 2022
দিলীপ ঘোষের এই বেফাঁস মন্তব্যের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা তো নতুন কোনও কথা নয়। দিলীপ বাবু কী বলেছেন, তা আমি বলতে পারব না। তবে এই ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে বিজেপির উপরের মহল থেকে। সেই কারণে, চিটফান্ড, সারদা ও নারদা কাণ্ডে কোনও পরিণতি এখনও পর্যন্ত হয়নি।”