Corona Update: ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাংলাতেও এবার XE-র থাবা?
Corona Update: দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা : করোনার তৃতীয় ঢেউ তথা ওমিক্রনের ঢেউ পেরিয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে গিয়েছিল দেশে। বাংলাতেও করোনার রেখচিত্র নীচের দিকেই নামতে দেখা যায়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধের কড়াকড়িও কিছুটা কমানো হয়। তবে এবার ফের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলায়। এমনকি করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE-র উপস্থিতির সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি পরিবারের সদস্যদের শরীরে নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে চোখ রাখলে বোঝা যাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একটু একটি করে বাড়ছে। গত সোমবার যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯, মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। বুধবারের বুলেটিন এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ০.৫৩ শতাংশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরে একই পরিবারের চারজন করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। আইআইটি-র অধ্যাপকের ওই পরিবার সদ্য কানপুর থেকে ফিরেছে। তারপরই তাঁদের শরীরে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। যেহেতু কানপুরে XE ভ্যারিয়েন্ট ও ওমিক্রমনের উপস্থিতি সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি, তাই ওই পরিবারের সদস্যরাও নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। তবে জেনোম সিকোয়েন্সিং না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬-১৭-তে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও তার থেকে খুব বেশি বাড়েনি আক্রান্তের সংখ্যা, তবে এই বৃদ্ধিটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহে শনি ও রবিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩১ ও ৪১। সোমবার সেই সংখ্যা নেমে যায় ১৯-এ। মঙ্গলবারই সেই সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে হয় ৩৬। আর বুধবার সেটাই ৫০ ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি নিয়েই বুধবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।