Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার ১০ দিনের ED হেফাজত, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর করাতে হবে মেডিক্যাল
ED Probe: আগামী ৩ অগস্ট পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই জনেরই প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মেডিক্যাল করতে হবে।
কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে (Arpita Mukherjee) দশ দিনের ইডি হেফাজতের (ED Custody) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ অগস্ট পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই জনেরই প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মেডিক্যাল করতে হবে। প্রসঙ্গত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং প্রচুর সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছে। পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডির তরফে দাবি করা হয়, অর্পিতা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
প্রসঙ্গত এদিন আদালতে শুনানি শেষে বেশ কয়েক ঘণ্টা রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপর আদালতের রায়ে ১০ দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় উভয়ের ক্ষেত্রেই। পাশাপাশি প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মেডিক্যাল করানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, অর্পিতার আইনজীবী এদিন জানিয়েছিলেন, সোমবার অর্পিতার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়নি। তাঁরা রিমান্ডের উপর সওয়াল করেছিলেন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা মন্ত্রীর জামিনের জন্যই সওয়াল করেছিলেন।
এদিকে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার সকালে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পার্থ বাবুর শারীরিক সুস্থতার দিকেই পাল্লা ভারী বলেই রিপোর্টে উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, সোমবার ভুবনেশ্বরেই রাখা হবে পার্থ বাবুকে। আগামিকাল (মঙ্গলবার) তাঁকে নিয়ে আসা হতে পারে কলকাতায়। প্রসঙ্গত, ইডির বিশেষ আদালত সন্ধে প্রায় পৌনে সাতটা থেকে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। শেষে রাত প্রায় পৌনে ১১ টা নাগাদ আদালতের রায় ঘোষণা করা হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, আদালতের এই নির্দেশের পর ইডির তদন্ত প্রক্রিয়ায় অনেকটাই সুবিধা হবে। ভুবনেশ্বর এইমস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ নন। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ইডির আধিকারিকরা।