AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কলকাতা-সহ রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের আকাল, টিকা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না মন্ত্রীও!

COVAXIN: ফিরহাদ বলেন, কোভ্যাকসিন রাজ্যের হাতে নেই। কলকাতা পুরসভাও তাই এই টিকা দিতে পারছে না।

কলকাতা-সহ রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের আকাল, টিকা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না মন্ত্রীও!
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 10:13 PM
Share

কলকাতা: শহরজুড়ে কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) আকাল। কলকাতার ৩৯টি কেন্দ্র, মেগাকেন্দ্র থেকে আপাতত দেওয়া হবে না করোনার এই টিকা। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, রাজ্যে আপাতত আসছে না কোভ্যাক্সিনের। কবে আসবে সেই উত্তরও কলকাতা পুরসভার কাছে নেই। ফলে চরম সঙ্কটে পড়েছেন কোভ্যাক্সিন প্রাপকেরা। এদিন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও জানিয়ে দেন কোভ্যাক্সিনের আকালের কথা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, কোভ্যাক্সিন রাজ্যের হাতে নেই। কলকাতা পুরসভাও তাই এই টিকা দিতে পারছে না। বহু মানুষ সংকটে পড়েছেন। আর এ নিয়ে তিনি মোদী সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছেন। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র কবে টিকা দেবে আমি জানি না। কোভ্যাক্সিন যদি শনিবার রাতে তাহলে সোমবার থেকে আবার দেওয়া যেতে পারে।” কিন্তু তার যে কোনও নিশ্চয়তা নেই, সেটাও পরিষ্কার করে দেন তিনি।

ফিরহাদের কথায়, “এদিন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কলকাতার যে ১৮ টি মেগা সেন্টার রয়েছে, সেখানে সকাল থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়ে গেলে পরের দিনের টিকার জন্য কুপন দিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেই কুপনে ও জালিয়াতি হতে পারে। তাই যাদের কুপন ইস্যু করা হবে, তাদের অরিজিনাল ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড এবং সেগুলির ফটোকপি আনতে হবে। সেগুলিতে স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রত্যেকটি মেগা সেন্টারে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থানাগুলিকে ওই সেন্টারগুলিতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা শহরে বাকি যে ১৪৮ টি সেন্টার রয়েছে সেখানে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কোনও ইস্যু করা হবে। তবে আপাতত মেগা সেন্টারগুলোতে কুপন ইস্যু করা হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।

এদিকে এদিনই পরিবহন দফতর নীল বাতি নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে বিরোধী দলনেতা, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতির নাম নেই বলে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টিতে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় পরিবহন মন্ত্রীকে।

বলেন, নীল বাতি নিয়ে পরিবহন দফতর আলাদা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অর্থাৎ, আমলা এবং গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের কারা কারা নীল বাতি পেতে পারেন, সেটাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “তালিকায় দেখতে পারেন আমি মেয়র নাম রাখিনি। যাঁদের নাম নেই বলে বিতর্ক হচ্ছে, তাঁরা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এই বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে তাঁদের মিলিয়ে দিলে চলবে না।” আরও পড়ুন: এক্সক্লুসিভ: মাদ্রাসায় চমক মালদার! ৭৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম সুজাপুরের সাদিয়া