AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID 19: চিনে বাড়ছে করোনা, ওড়িশাতেও হদিশ নতুন সাবভ্যারিয়েন্টের, বাংলার হাল কেমন?

Coronavirus in West Bengal: যদিও পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু নজরদারিতে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

COVID 19: চিনে বাড়ছে করোনা, ওড়িশাতেও হদিশ নতুন সাবভ্যারিয়েন্টের, বাংলার হাল কেমন?
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 9:52 AM
Share

কলকাতা: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনার (COVID 19) সংক্রমণ। হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নয়া সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর কারণেই চিনে ফের এই করোনার বাড়বাড়ন্ত। শুধু চিনই নয়, বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশের করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক রূপ নিতে শুরু করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ভারতেও ইতিমধ্যে এই নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের তিনটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একটি আবার বাংলার পড়শি রাজ্য ওড়িশা থেকে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু নজরদারিতে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী ২১ ডিসেম্বর বাংলায় করোনা আক্রান্তের সরকারি হিসেব মাত্র একজন। করোনায় কোনও মৃত্যু ঘটেনি আজ রাজ্যে। সরকারি হিসেবে এদিন করোনামুক্ত হয়েছেন চারজন। বুধবারের হিসেব অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চার হাজারের কিছু বেশি। শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় যত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে পজিটিভ ধরা পড়েছে ০.০২ শতাংশ। সরকারি হিসেবে রাজ্যে এদিনের হিসেবে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪০। তাঁদের মধ্যে ঘরে আইসোলেশনে রয়েছেন ২৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৬ জন। করোনার কারণে রাজ্যে বর্তমানে মৃত্যুর হার ১.০২ শতাংশ।

COVID in West Bengal (2)

গত এক সপ্তাহের করোনা পরিস্থিতি একনজরে

উল্লেখ্য, মাঝে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ শূন্যেও নেমে এসেছিল। ১৮ ডিসেম্বর (রবিবার) রাজ্যের সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য। তারপর সোমবার তা বেড়ে হয়েছিল এক (১), মঙ্গলবার তা আরও খানিকটা বেড়ে গিয়ে ৭ হয়েছিল। তবে এদিন আবার কমে এক-এ নেমে এসেছে দৈনিক সংক্রমণ।

সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিশ্চিন্ত হয়ে থাকছে না রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সভাঘরের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে নজরদারিতে কোনও খামতি না থাকে। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।