Cyber Fraud: সিআইএসএফ কর্মীর পরিচয়ে সাইবার প্রতারণা, ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে গিয়ে টাকা খোয়ালেন বেলেঘাটার ব্যক্তি

Fraud Case: বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি কাউকে টাকা পাঠানো যায় না। সে জন্য সিআইএসএফ-এর অ্যাকাউন্ট বিভাগের কর্মী বলে একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

Cyber Fraud: সিআইএসএফ কর্মীর পরিচয়ে সাইবার প্রতারণা, ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে গিয়ে টাকা খোয়ালেন বেলেঘাটার ব্যক্তি
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 8:39 AM

কলকাতা: মোবাইল ওয়ালেটের বিভিন্ন বিষয়ে লেনদেন করা যেমন সহজ হয়েছে, তেমন জালিয়াত চক্রের রমরমাও বেড়েছে। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে রোজই প্রচুর মানুষ সাইবার প্রতারণার শিকার হন। মানুষকে বোকা বানাতে প্রতারক নতুন নতুন ফাঁদ পাতেন। ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে খুব একটা সড়গড় যাঁরা নন, তাঁরা বুঝতে না পেরে সেই ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হন। সম্প্রতি কলকাতার এক ব্যক্তি যে ভাবে প্রতারিত হয়েছেন, তা দেখে অবাক পুলিশও। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয়েছে ওই ব্যক্তির সঙ্গে। প্রতারণা করতে প্রতারকরা সেজেছিলেন সিআইএসএফ কর্মী।

বেলেঘাটার শুভাশিস চট্টোপাধ্যায় তাঁর খড়দার ফ্ল্যাট ভাড়া করবেন বলে সম্প্রতি একটি নামী ই-কমার্স অ্যাপে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে এক ব্যক্তি নিজেকে সিআইএসএফ জওয়ান বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভাড়া নিতে আগ্রহী ব্যক্তি জানায়, কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর পোস্টিং হয়েছে। সে জন্য সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও গোটা পরিবারকে নিয়ে থাকার জন্য ভাল জায়গা খুঁজছেন। শুভাশিস বাবুর ফ্ল্যাট তাঁর পছন্দ হয়েছে। দ্রুত ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার কাজ সেরে ফেলতে চান তিনি। ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা পাঠাবেন বলেও শুভাশিসবাবুকে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে তাঁর দাবি ছিল গোটাটাই করতে হবে মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে।

নিজেকে সিআইএসএফ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি শুভাশিসবাবুর কাছে দাবি করেন, যেহেতু তিনি সিআইএসএফ কর্মী, সে জন্য না কি তিনি সরাসরি টাকা পারবেন না। বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি কাউকে টাকা পাঠানো যায় না। সে জন্য সিআইএসএফ-এর অ্যাকাউন্ট বিভাগের কর্মী বলে একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। তাঁরা শুভাশিসবাবুকে বলেন,  যত টাকা ঘর ভাড়া, সেই অঙ্কের টাকা শুভাশিসবাবুকে ওয়ালেটের মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্ট বিভাগের কর্মীকে পাঠাতে হবে। তার পর সমপরিমাণ টাকা রিফান্ড হিসেবে ফেরত পাঠাবেন তাঁরা।

এ কথা সরল মনে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন শুভাশিসবাবু। দু’দফায় ২২ হাজার টাকা পাঠিয়েও ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে বিশ্বাস অর্জনের জন্য, সিআইএসএফের আইডি কার্ড ও সিআইএসএফ এর পোশাক পরে ভিডিয়ো কলে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন প্রতারকরা। কিন্তু ২২ হাজার টাকা পাঠানোর পরও এক টাকাও শুভাশিসবাবুর অ্যাকাউন্টে এ ফেরত আসেনি। তখনই সন্দেহ হয় শুভাসিকবাবুর। তখন তিনি বেলেঘাটা থানায় ও লালবাজারের অভিযোগ করেন। এর পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।