CM Mamata Banerjee: কাল জিটিএ’র শপথ, আজ তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা

কলকাতা: সোমবার তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জিটিএ’র শপথ। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা তাঁর। সোমবার বেলা ১টা নাগাদ বাগডোগরায় পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ১১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই উত্তরবঙ্গে থাকবেন তিনি। ১৪ তারিখ ফেরার কথা। পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে জিটি নির্বাচন হল। জিটিএ’র মোট ৪৫ আসনে ভোট হয়। মোট ২৭৭ জন প্রার্থী ছিলেন। অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) পেয়েছে ২৬টি। হামরো পার্টি পেয়েছে ৮টি। তৃণমূল পেয়েছে ৫টি আসন। নির্দল পেয়েছে ৬টি। জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল শুরু হয় পাহাড়ে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রথম থেকেই এই ভোট চায়নি। জিটিএ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরু। চিঠি লেখেন সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও। চিঠিচাপাটিতে কাজ না হওয়ায় অনশনে বসেন বিমল গুরুং। ১০৩ ঘণ্টার টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই ভোটে অনীতের জয়।

এই জয়ের পর শুভেচ্ছাবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় বর্ধমান সফরে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বলেন, “অনেক প্ররোচনা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে এখন শান্তি ফিরে এসেছে আমরা খুশি। নির্বাচন পদ্ধতি শুরু হয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। শান্তিপূর্ণভাবে পাহাড়ের মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন। এত শান্তিপূর্ণ ভোট, এত সুন্দর অংশগ্রহণ। ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অনীতের দল পেয়েছে ২৭ আসন। আমাদের সঙ্গে অনীতদের জোট হয়েছিল। আমরা মাত্র ১০ আসনে লড়েছিলাম। আমরাও ৫ পেয়েছি। অর্থাৎ ৪৫ মধ্যে মাত্র ৮টা বিরোধীরা পেয়েছে। বাদবাকি সবটাই আমাদের জোট পেয়েছে। খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সকলকে শুভেচ্ছা।”

জিটিএ-জয়ের পর অনীত থাপা কলকাতায় এসেছিলেন। গত ৬ জুলাই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছিলেন, জিটিএ’র অসমাপ্ত কাজ নতুন উদ্যমে করতে চান। ১২ জুলাই জিটিএ’র বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে থাকার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।