DA Agitation: বাংলা কি সস্তার শ্রমের বাজার? প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ
DA Protest: টানা সাড়ে আট মাস ধরে চলতে থাকে এই আন্দোলন যে শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্যই নয়, একইসঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষদের জন্যও, সেটাই বুঝিয়ে দিতে তৎপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকার বাংলাকে একটি 'সস্তার শ্রমের বাজার' তৈরি করতে চাইছে বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ, অর্জুন সেনগুপ্তরা।
কলকাতা: আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে দু’দিনের কর্মবিরতিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবি করছে তারা। টানা সাড়ে আট মাস ধরে চলতে থাকা এই আন্দোলন যে শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্যই নয়, একইসঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষদের জন্যও, সেটাই বুঝিয়ে দিতে তৎপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকার বাংলাকে একটি ‘সস্তার শ্রমের বাজার’ তৈরি করতে চাইছে বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ, অর্জুন সেনগুপ্তরা। তাঁদের বক্তব্য, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ৪০ শতাংশ শুধু মহার্ঘভাতা খাতেই বকেয়া পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় অর্ধেক মাইনে। সরকার এভাবে কাজ করিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে একটি সস্তার শ্রমের বাজারে পরিণত করতে চায়।”
রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রতি এই ‘বঞ্চনা’র প্রভাব বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের উপরেও পড়ছে বলে মনে করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাঁদের বক্তব্য, ” শুধু সরকারি কর্মচারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত নন, বেসরকারি ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, সরকার আদর্শ নিয়োগ কর্তা। সরকার যেভাবে নিজের কর্মচারীকে বেতন ও ভাতা দেয়, সেই পরিকাঠামোই বেসরকারি সংস্থার মালিকরাও গ্রহণ করেন। তাই সরকার যখন নিজের কর্মচারীদের প্রতি এমন বঞ্চনা করে, তখন বেসরকারি সংস্থার মালিকদেরও ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়।”
সম্প্রতি পাহাড়ে হড়পা বানে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রকৃতির রুদ্ররোষে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে। কিন্তু এত বড় বিপর্যয়ের পরেই সিকিম সরকার সেখানকার সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ভাস্কর ঘোষ বললেন, “এই বিপর্যয়ের মধ্যেও যখন সিকিম এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তখন পশ্চিমবঙ্গের উচিত প্রতিবেশী রাজ্যের থেকে শিক্ষা নেওয়া। রাজ্য সরকার যখন বলে তারা চেষ্টা করছে, সেটা আমাদের প্রহসন ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।”