Debanjan Deb: ভুয়ো ভ্যাকিসন মামলায় দেবাঞ্জনের হয়ে বিকাশের সওয়াল, মিলল না কোনও ফল
Debanjan Deb: প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির চালানোর অভিযোগে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। তিনি সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কলকাতা: ‘একজন অভিযুক্ত কীভাবে তদন্ত হস্তান্তর চাইতে পারেন?’ ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব মামলায় প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নিরাপত্তার অভাব ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া দেবাঞ্জন দেব। তাঁর হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু আদালত দেবাঞ্জনের কোনও আবেদনেই সেভাবে কর্ণপাত করল না। দেবাঞ্জন নিরাপত্তা চেয়ে যে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দেন বিচারপতি। তবে তিনি প্রয়োজন পড়লে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দ্রুত তাঁর আবেদন বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির চালানোর অভিযোগে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। তিনি সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দেবাঞ্জনের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার মাথাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাঞ্জন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “দেবাঞ্জন দেব নিশ্চই প্রভাবশালী ছিলেন। সেই কারণেই তিনি ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্প বা অন্য কর্মসূচি করতে পারতেন। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে যাঁদের নামে অভিযোগ করছেন, তাঁদের প্রত্যক্ষ মদতে তিনি এসব কাজ করছেন।”
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই মামলায় দেবাঞ্জনের হওয়া সওয়াল করছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা নথি দিয়ে দেখাব, কীভাবে কলকাতা পুলিশ তদন্ত নষ্ট করছে। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে নথি লোপাট করছে। রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালীদের যোগ রয়েছে।”
বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, “তাহলে এতদিন পর কেন? আর এই অভিযোগ কেনো একজন অভিযুক্তের থেকে পেয়ে আদালত সিরিয়াসলি নেবে?” আইনজীবীর বক্তব্য, “একজনকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের কথাও বলেছে। তাই তদন্ত হস্তান্তর হবে না এটা বলা যাবে না। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।” হাইকোর্টে এদিন মামলাকারীর আইনজীবী একের পর এক ইডির নথি ও আদালতের রায়ের কপি দেখান।
বিচারপতি তখন বলেন, “এখনও পর্যন্ত দেবাঞ্জন দেব যাঁদের নামে অভিযোগ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই অপরাধে যুক্ত থাকার পক্ষে কোনও চূড়ান্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” রাজ্যের তরফ থেকে তখনও সওয়াল করা হয়, “মামলার কোনও ভিত্তি নেই। তার কোনও প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।” ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।