Dengue Fever: বাবা-পিসির প্রাণ কেড়েছিল ডেঙ্গি, দক্ষিণ দমদমের রিঙ্কিরও মৃত্যু মশার কামড়ে
Dengue Fever: তবে একুশে জুলাই দুপুর নাগাদ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দক্ষিণ দমদম: রাজ্যে ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। জেলাগুলিতে একদিকে যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সোমবারের পর মঙ্গলবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয় এক মহিলার। একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতের নাম রিঙ্কি রায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭২ নম্বর এভিনিউর বাসিন্দা তিনি। চলতি মাসের ১৪ তারিখ জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে ভিআইপি রোডের ধারে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বছর ত্রিশের রিঙ্কি। এরপর দ্রুত প্লেটলেট কমতে শুরু করেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
তবে একুশে জুলাই দুপুর নাগাদ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির পাশেই একটি পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ময়লা এবং খানাখন্দে ভরা জমা জল রয়েছে। সেই জায়গাই মশার আঁতুড়ঘর। একাধিকবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। যদিও এই বিষয়ে সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, “দুঃখের বিষয়। যেদিন থেকে উনি ভর্তি হন। সেই দিন থেকেই আমরা চেষ্টা করছিলাম ওনাকে বাঁচাতে। আর আমাদের পৌর কর্মীরা প্রতিনিয়ত এলাকা পরিষ্কার করছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রিঙ্কি দেবীর বাবা পঙ্জ মজুমদার ও পিসি রমা ধরের। ২০২৩ ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বস্তুত, প্রতিবারই বর্ষাকালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার বাড়-বাড়ন্ত ঘটে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গ্রামবাংলার ডেঙ্গির চিত্র বেশি ভয়াবহ। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নদিয়ার রানাঘাট-১, রানাঘাট-২, হরিণঘাটা, কৃষ্ণনগর-১। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা, বসিরহাট। হাওড়া পুরএলাকার একাধিক জায়গা। হুগলির রিষড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর। বাদ পড়েনি কলকাতাও। মহানগরীর অনেক জায়গাতেই বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। গতকালই পিকনিক গার্ডেনে মৃত্যু হয়েছে দশ বছরের পল্লবী দে-র। এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে।