Dengue Panic: বৃষ্টির হাত ধরে পুজোর মুখেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গির বিপদ, ভয় বাড়াচ্ছে শহরের জমা জল
Dengue Panic: জমা জল ঠেলে জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিজনেরা। কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় নয়।
কলকাতা: জমা জলের (Kolkata water Logging) বহর দেখে ডেঙ্গি (Dengue Panic) আতঙ্কে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ-সহ হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র দু’দিন ধরে জল জমে রয়েছে। জমা জল ঠেলে জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিজনেরা। কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় নয়। শহর কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার এই হাল দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, কোভিডের মধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। ডেঙ্গির নতুন স্ট্রেন উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বরে জল জমে মশার বংশবৃদ্ধিরই পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
চিকিৎসকসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্বেগ সম্পর্কে সহমত পোষণ করে বেসরকারি হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার সিমরদীপ গিল বলেছেন, হাসপাতাল থেকেই ডেঙ্গি ছড়ানোর পরিবেশ তৈরি হলে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত জমা জল সরানোর পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সিওও।
গত দুদিনের টানা বর্ষণে জল জমেছে শহরের একাধিক জায়গায়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্য়ামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন। সোমবার কার্যত সারা দিনই পাম্প চালিয়ে জল গঙ্গায় ফেলা হয়েছে। গঙ্গায় জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। শহরের নিকাশি নালার জল কীভাবে গঙ্গা দিয়ে বের করবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।
গত দুদিনে শহরে রেকর্ড পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে ধাপাতে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তোপসিয়া। উল্টোডাঙা তৃতীয় স্থানে। এদিকে, গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করে। লকগেটগুলি বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। জল যন্ত্রণা বাড়ে। দ্রুত জল বেরনোর পথ বাতলাতে হবে পুরকর্তাদেরই। তা না হলে, শহরে ডেঙ্গির হাতছানি ভয় ধরাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের মনে।
শহরের চিত্র দেখেই ভয় পাচ্ছেন পুরকর্তারাও। করোনা, অজানা জ্বর তো রয়েইছে, এরইমধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্কও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারাও। বর্ষার শেষ আর পুজোর আগে আগে এই সময়টা নতুন করে ডেঙ্গি আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আবহে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। একে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি, তারওপর ডেঙ্গির ভয়। জোড়া ফলায় বেশি চিন্তিত স্বাস্থ্য কর্তারা।
এদিকে, আগামী শনিবার নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত রবিবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। ফলে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস থেকেই যাচ্ছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।