Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ট্রেন চললে বেশি ভাড়া দিতে হত না, সেটাই বন্ধ করে রেখেছে’

Dilip Ghosh: বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, বাসের আগে ট্রেন চালানো উচিৎ ছিল। তাঁকে পাল্টা তোপ দেগে কুণাল বললেন, 'উত্তরপ্রদেশের মতো মৃতদেহ ভেসে আসার ছবি বাংলায় দেখতে হয়নি'।

'ট্রেন চললে বেশি ভাড়া দিতে হত না, সেটাই বন্ধ করে রেখেছে'
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jul 01, 2021 | 3:36 PM

কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শহরে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সকাল থেকেই শহরে দুর্ভোগের ছবি চোখে পড়ছে। যাত্রীরা অপেক্ষা করলেও মেলেনি বাস। কোথাও আবার বাস মিললেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে আগে ট্রেন চালু করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ট্রেন যদি চলে, তাহলে তো বেশি ভাড়া দিতে হত না। মান্থলি কেটেই লোকজন যাতায়াত করতে পারতেন। যদিও দিলীপের বক্তব্যে তৃণমূলের পাল্টা তোপ, ‘যারা এতদিন সরকার চালিয়েছে, কী করতে হবে, তারাই ভাল বুঝবে।

এ দিন সকাল থেকেই শহরের বাস পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রীই। কলকাতা-জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে এদিন বাসের সংখ্যা নেহাতই কম। জ্বালানির আকাশছোঁয়া দামের জেরে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে রাজি নন বাস মালিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার জেরেই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে যাত্রীদের। এ্ই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুবিধায় বাসের আগে ট্রেন চালা্নোর পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ”সমস্যা মেটাতে ৫০ হাজার বাসের দরকার আছে। বাসের ভাড়া নিয়েও সমস্যা আছে। যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাম থেকে কলকাতার বাইরের লোক না এলে অফিস চলবে কি করে?’ তাঁর দাবি, ট্রেন যদি চলে তাহলে মান্থলি করে আসতে পারবেন যাত্রীরা, বেশি ভাড়া দিতে হবে না। ট্রেনটা আগে চলা উচিত। তাহলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেটা না করে বন্ধ করে রেখেছে।

আরও পড়ুন: ‘আধ ঘণ্টারও বেশি দাঁড়ালে মিলছে না দেখা’, বিধিনিষেধ শিথিল হলেও কার্যত বাস-শূন্য শহর-শহরতলি

বিজেপি সভাপতির এই পরামর্শে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যারা এত দিন রাজ্যটা চালাচ্ছে, তাদের থেকে কি উনি বেশি ভাল বোঝেন?’ গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিলীপবাবুদের উত্তরপ্রদেশের মতো নদীতে মৃতদেহ ভেসে আসার ছবি বাংলায় দেখা যায়নি।’ নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় সরকাররে অপদার্থতায় দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মানুষের একটু অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। কিন্ত কোনটা আগে মহারামারি আকার নেওয়া এই ভাইরাস? নাকি বিধি-নিষেধের অসুবিধা?’