নেশায় বুঁদ করিয়ে কুকুরকে ধর্ষণ, ক্ষতবিক্ষত যোনি!

ছোটুর এই কুকাজের কথা জানার পর ওকে আর পাড়াই ঠাঁই দিতে চাইছে না কেউ। ‘ওকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলুক’, বলছেন গৃহবধূরা।

নেশায় বুঁদ করিয়ে কুকুরকে ধর্ষণ, ক্ষতবিক্ষত যোনি!
Follow Us:
| Updated on: Dec 30, 2020 | 12:06 PM

কলকাতা: কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ! গ্রেফতার অভিযুক্ত। এই ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতার  হরিদেবপুরে।

কয়েকদিন ধরেই পাড়ার কুকুরগুলোর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করছিলেন স্থানীয়রা। চোখ মুখ ফোলা, গুহ্যদ্বারেও ক্ষতচিহ্ন। হাঁটাচলাও স্বাভাবিক নয়। পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত সমক চট্টোপাধ্যায় এবং তিয়াশা মুখোপাধ্যায় যখন পথ পোষ্যদের খাবার দিতে এসেছিলেন তাঁদের চোখেও পড়েছিল একই রকম অস্বাভাবিকতার ছবি। এই কয়েক মাসে আবার কয়েকটি কুকুরের মৃত্যুও হয়। কিছুতেই বুঝে ওঠা যাচ্ছিল না, ঠিক কোন কারণে ওদের মৃত্যু হয়েছে? কী কারণই বা হতে পারে শারীরিক অস্বাভাবিকতার? শেষ পর্যন্ত যে কারণ সামনে উঠে এল, তাতে হতবাক, বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। অনেকে ভীতও। পাড়ায় শিশুরা রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

অভিযোগ, পাড়ার এক যুবকই নাকি এই কাজ করেছে। হাতে এসেছে রোমহর্ষক ভিডিয়ো। গভীর রাতে পুকুর পারে অবলা প্রাণীদের সঙ্গে সঙ্গম করতে দেখা গিয়েছে ওই যুবককে। আজ সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেন সমক, তিয়াশা-সহ আরও পড়শিরা।

আরও পড়ুন: জমা জলের বিরুদ্ধে রংতুলি দাগল খুদে পড়ুয়ারা, মুগ্ধ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা

দেখা যায় ইঞ্জেকশন-সহ আরও অনেক নেশার সরঞ্জাম রয়েছে যুবকের ঘরে। খাটে, লেপের মধ্যে রয়েছে একটি কুকুরও। অভিযুক্ত যুবক ড্রাগ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে অবলা প্রাণীদেরকে ড্রাগ দেওয়া ও পৈশাচিক অত্যাচারের বিষয়ে সে কোনও কিছুই বলেনি। নেশায় বুঁদ যুবককে মারধর করা হলেও কোনও কথা বের করা যায়নি। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস আসে এবং ওই যুবককে আটক করে।

আরও পড়ুন: ‘সৌরভের নেতৃত্বে একুশের ময়দানে ছক্কা ওড়াবে বিজেপি’

পশুপ্রেমী তিয়াশার অভিযোগ, “আমরা এখানে কুকুরদের খাওয়াই। অভিযোগ পেয়েছিলাম, ড্রাগ অ্যাডিক্ট একটা ছেলে কুকুরদের নেশার ইঞ্জেকশন দেয়। প্রথমে ধর্ষণের কোনও অভিযোগ ছিল না। দু আড়াই মাস ধরে চেষ্টা করার পর কাল একটা ভিডিয়ো পেয়েছি, সেখানে দেখা যাচ্ছে ছেলেটা কুকুরকে রেপ করছে। সকালে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখলাম বাড়িতে নেশার সরঞ্জাম রয়েছে। একটা বাচ্চা কুকুরকেও পাওয়া গিয়েছে, যোনিদ্বারে ক্ষতও রয়েছে। ”

ছোটু নামে ওই যুবকের এই কাজে হতবাক প্রতিবেশীরা। অনেকেই জানত ছোটু নেশা করে। ‘পাতাখোর’ নামেও চেনে অনেকে। ছোটুর এই কুকাজের কথা জানার পর ওকে আর পাড়াই ঠাঁই দিতে চাইছে না কেউ।