AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কোথাও গিলে খেল মাটির বাড়ি, কোথাও আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট! দু’দিনের দুর্যোগে প্রাণ হারালেন ১০ জন

Bengal: বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

কোথাও গিলে খেল মাটির বাড়ি, কোথাও আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট! দু'দিনের দুর্যোগে প্রাণ হারালেন ১০ জন
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 7:00 AM
Share

কলকাতা: তুমুল বৃষ্টিতে কোথাও ভেঙে পড়ল দেওয়াল। কোথাও নামল ধস। ছিড়ল বিদ্যুতের তার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১০। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। প্রাণও হারিয়েছেন অনেকেই। কেউ দেওয়াল চাপা পড়ে, কেউ বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। কেউ আবার ধসে চাপা পড়ে। উত্তরবঙ্গের কালিম্প, দক্ষিণের হাওড়া, বনগাঁতে মৃত্যু হয়েছে ২ জন করে।

হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার একটি পুকুরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার ডাক্তার বনমালি ঘোষ লেনের বাসিন্দা অলোক ঘোষের। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা আর পুকুর বৃষ্টির জলে মিলেমিশে গিয়েছিল। রাস্তা বুঝতে না পেরে সাইকেল নিয়ে পুকুরে পড়ে যান। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ততক্ষণে সব শেষ। অন্যদিকে দাসনগর থানা এলাকার হেমন্ত সিংয়ের মৃত্যু হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। ভারী বর্ষণের জেরে ঘরের ভিতর জল ঢুকে পড়ে। বাড়ির মেইন সুইচ বন্ধ করে গেলে তড়িদাহত হন তিনি। হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যুর কথা জানান চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়াল ভেঙে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। নান্টু মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি স্থানীয় জামুয়ার ঘোষপুকুরে। টানা বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে বেশ কিছু মাটির বাড়ি। মাটির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে গড়বেতার পুষ্পা রুইদাসের।

বনগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। বনগাঁ পুরএলাকার বাসিন্দা ঋষভ অধিকারী শুক্রবার সকালে ভুলবশত একটি বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে ফেলে। তার জেরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা মিতা অধিকারীও তড়িদাহত হন। দু’জনকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও লাভ হয়নি। বাঁকুড়ার সিমলাপালেও দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আবদুল ওয়াহিদ খান নামে এক ব্যক্তির। উত্তর আসানসোলেও মাটির বাড়ি চাপা পড়ে এক পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ৩২ মাইল, মল্লি-সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধও হয়ে যায়। মল্লির কাছে কালিম্পং সংলগ্ন মামখোলা সেবক রংপো রেলপথে ধস নামে। দুই শ্রমিকের মৃত্যুও হয়। তিনজনের খোঁজ নেই। স্নিফার ডগ এনে তল্লাশি চালানো হয়। আহত একাধিক শ্রমিককে সিকিমের সিনথাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সংক্রমণ হঠাৎ উল্টো পথ ধরল কেন, লোকসভায় ব্যাখ্য দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী