এবার ভোটে কমিশনের কড়া নজর ‘মদের বোতলে’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গত লোকসভা ভোটেও এ বিষয়টি স্ক্যানারে রেখেছিল কমিশন। বিধানসভা ভোটের আগে এবার আরও বেশি কড়া তারা।

এবার ভোটে কমিশনের কড়া নজর 'মদের বোতলে'
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 24, 2021 | 5:06 PM

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: ভোট এলেই মদের বিক্রি বাড়ে। দেশি বিলেতি সব মদেরই রমরমা। কিন্তু কেন? মদ কি ভোটের ‘ভেট’। এ প্রশ্ন বহু পুরনো আর উত্তরও অনেকেরই জানা। তবে বাংলায় বিধানসভা ভোটের (Bengal Assembly Election 2021)  আগে এ নিয়ে বিশেষ নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই কমিশনের স্ক্যানারে বিষয়টি।

চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ২৩টি জেলার জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও কমিশনারের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করে তারা। ডাকা হয় আবগারি দফতরকেও। সূত্রের খবর ওই বৈঠক থেকেই আবগারি দফতরের আধিকারিকদের কড়া বার্তা দেয় কমিশন। রাজ্যের সমস্ত মদের দোকানের গত ছ’মাসের বিক্রির পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চেয়েছে তারা।

সূত্রের খবর, শুধু তাই নয়, গত ছ’মাসে কোন বেআইনি মদের ঠেক থেকে কত মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার খুঁটিনাটি হিসাব চেয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে রাজ্যের যত মদের দোকান আছে তার জিওট্যাগিং (GeoTagging) দিতে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আবহে কত মদ বিক্রি হয়েছে তার হিসাবও চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, সোমবারের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাজার টাকার মাছ ক্রয় ‘মাস্ক ম্যানের’, টাকা গুণতে গিয়ে কপালে হাত দোকানির

গত ২১ জানুয়ারি কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরই বড়সড় রদবদল হয় আবগারি দফতরে। একইসঙ্গে বদলি করা হয় ২৪২ জন আবগারি আধিকারিক ও কর্মীকে। নির্বাচনের সময় প্রত্যেকবারই মদের গতিবিধির উপর নজর রাখে কমিশন। তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি পদক্ষেপ করেছিল তারা। এবার বিধানসভা নির্বাচনে কমিশন যে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে এই নির্দেশের পর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মদ দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এ বছর নিরপেক্ষ ও নিরাপদ নির্বাচন করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হবে না বলে আগেই জানিয়েছে কমিশন। মদের উপর নজরদারি তারই সূচনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।