Sandeshkhali: SIT নয়, সন্দেশখালির তদন্ত করুক CBI, ডিভিশন বেঞ্চে যেতে চলেছে ED
Calcutta High Court: সন্দেশখালির ঘটনায় মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল ন্যাজোট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করেন ইডি আধিকারিকরা। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআর-টি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকার।
কলকাতা: সন্দেশখালির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটের মাথায় সিবিআই আধিকারিক থাকার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকদের থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। সূত্রের খবর, তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপস্থিতিতে নারাজ ইডি। তারা চাইছে সিট নয়, সন্দেশখালীর ঘটনার পুরো তদন্তের ভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে এনফোর্স ডিরেক্টরেট বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। দ্রুত এই মর্মে আবেদন করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
সন্দেশখালির ঘটনায় মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল ন্যাজোট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করেন ইডি আধিকারিকরা। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআর-টি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকার। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ অনুযায়ী এর মধ্যে প্রথম দুটি এফআইআর এর তদন্ত করবে সিট। তবে সূত্রের খবর, ইডি চাইছে না রাজ্য পুলিশের উপস্থিতি। সেই কারণে একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা।
সেই দলে থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। আদালতের নির্দেশ, সিট চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিতে পারবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর ইডি আদালতে জানায় যে রাজ্য পুলিশের উপর তাদের ভরসা নেই। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল পুলিশ নিজের যাবতীয় কর্তব্য পালন করেছে। এমনকী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।