ED Raid kolkata: মাদুরদহ, কেন্দুয়া, লেক রোড, কী আছে বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে? চলছে তল্লাশি

ED Raid Kolkata: একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে ফাইল। আবাসনগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা।

ED Raid kolkata: মাদুরদহ, কেন্দুয়া, লেক রোড, কী আছে বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে? চলছে তল্লাশি
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে চলছে তল্লাশি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 3:20 PM

কলকাতা : ফের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সূত্রের খবর, অর্পিতাকে জেরা করেই বেশ কয়েকটি অভিজাত আবাসনে  ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। মঙ্গলবার একদিকে যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, অন্যদিকে তখন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডি-র বেশ কয়েকটি টিম। মাদুরদহের একটি ফ্ল্যাট থেকে দুটি ফাইল উদ্ধার হয়েছে, অন্যান্য আবাসনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায় কি না, তার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এ দিন সকালে দক্ষিণ কলকাতার মাদুরদহের হোসেনপুরে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় আগেই অর্পিতার একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এ দিন ফের আরও একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে ইডি। পূর্বায়ন আবাসনের সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে। আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন অর্পিতা। দুটি ফাইলের সঙ্গে মোটা বই বা ডায়েরির মতো কিছু উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

রাজা বসন্ত রায় রোড বা লেক রোডের একটি আবাসনেও এ দিন পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকেরা। সেই আবাসনের নীচেও একটি নেল আর্টের দোকান রয়েছে। অর্পিতার ব্যবসার সঙ্গেই এই আবাসনের কোনও যোগ রয়েছে বলে অনুমান আধিকারিকদের। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছেন আধিকারিকরা।

এ ছাড়াও জেরা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারেই এ দিন দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের অভিজাত আবাসন ফোর্ড ওয়েসিসেও পৌঁছে গিয়েছেন অফিসারেরা। সেই আবাসনের ব্লক ৬-এর ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে জানা গিয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও শিল্পপতির কাছ থেকে উপহার হিসেবে ওই ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ওই আবাসনের নিরাপত্তা কর্মীর দাবি, তিনি এখানে গত ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। ফ্ল্যাটটি বরাবর বন্ধ থাকতেই দেখেছেন তিনি। পার্থ, অর্পিতা বা অন্য কাউকে কখনও আসতে দেখেননি।

গোয়েন্দাদের সঙ্গে ওই আবাসনে রয়েছেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীও। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ কলকাতার এক শিল্পপতির কাছ থেকেই উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন পার্থ। এই বন্ধ ফ্ল্যাটে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইডি-র।

এ ছাড়া পাটুলির কেন্দুয়া মেন রোডের প্রয়াস আবাসনে তল্লাশি চলছে, ওই আবাসনে অর্পিতার নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। অন্যদিকে, বরানগরে অপর একটি নেল আর্ট পার্লারে তালা ভেঙে প্রবেশ করে ইডি-র একটি টিম তল্লাশি চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রথমে হরিদেবপুর ও পরে বেলঘরিয়া, দুই আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আপাতত পার্থ বা অর্পিতার নামে থাকা সব সম্পত্তিই রয়েছে ইডির রাডারে।