Rose Valley : রোজ ভ্যালির ২৬.৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

Enforcement Directorate: রোজ ভ্যালি গ্রুপের বিভিন্ন হোটেল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

Rose Valley : রোজ ভ্যালির ২৬.৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
রোজ ভ্যালি কাণ্ডে ফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 6:31 PM

কলকাতা: ফের রোজ ভ্যালি কাণ্ডে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ভুইফোঁর অর্থলগ্নি সংস্থার ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রোজ ভ্যালি গ্রুপের বিভিন্ন হোটেল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পিএমএলএ আইনে ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এর আগেও একাধিক বার রোজ ভ্য়ালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই স্থাবর – অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।

উল্লেখ্য, রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডি এবং সিবিআই, দুই সংস্থাই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছেন আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয়েছে গৌতমের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকেও। সম্প্রতি শুভ্রা কুণ্ডুর বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। আর সেই সূত্র ধরেই রোজ ভ্যালি গোষ্ঠীর বিভিন্ন হোটেল, বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিমান্ড ড্রাফটের সন্ধান পান ইডির আধিকারিকরা। আজ সেই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে

গৌতমের পাশাপাশি এই মামলায় তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একসময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অতি সক্রিয় হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।

অন্যদিকে ২০১৩ সালে রোজ ভ্যালি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে ইডি। তারপরই কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল, নথি সবকিছুই। এই তদন্তের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের মে মাসে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।

রোজভ্যালিকাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও। শুভ্রাকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআইয়ের প্রথম লক্ষ্য, সেই নামটি খুঁজে বের করা যাঁর ‘আশ্বাসের হাত’ মাথায় থাকার জন্য স্বামীকে বাদ দিয়েও দিনের পর দিন সোনার গয়নার ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন শুভ্রা। তাঁর অদ্রিজা জুয়েলারি প্রথমে রোজভ্যালির ছাতার তলায় থাকলেও পরে তা স্ত্রীর নামে করে দেন গৌতম। রোজভ্যালি কর্তা গ্রেফতারের পরও রমরমিয়ে সে দোকান চলেছে। কার সহযোগিতায় এই ব্যবসা শুভ্রা এগিয়ে নিয়ে যান তা জানতে চায় তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতারের পর থেকেই রোজভ্যালি গোষ্ঠীর যত সম্পত্তি রয়েছে তার তালিকা তৈরি শুরু করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর মধ্যে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর বাড়ি, অফিস এবং তাঁর গচ্ছিত টাকার হিসাবও রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার রোজভ্যালি গোষ্ঠীর ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

আরও পড়ুন : ভোট মিটতেই ফের চিটফান্ডকাণ্ডে নয়া মোড়, রোজভ্যালির ৩০৪ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির