Exclusive Saugata Roy: এই পরিস্থিতি অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ, পুলিশ তার বাইরে নয়: সৌগত রায়
Exclusive Saugata Roy: তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলতে হয়, সৌগত রায়ের মন্তব্য দল সমর্থন করছে না। TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌগত রায় বুঝিয়ে দিলেন, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার করেই তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।
কলকাতা: আপনি হৃদয়ের কথা শোনেন না মস্তিষ্কের? এই প্রশ্নের তাঁর তৎক্ষণাৎ উত্তর, “মস্তিষ্কের।” কেন তার ব্যাখ্যাও দিলেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৌগত রায় বলেন, “আমি অত্যন্ত যুক্তিবাদী। হৃদয় যে নেই সেটা বলব না। তবে ধর্ম, রাজনীতি, জীবন সব ব্যাপারে যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করি। এটাই আমার সাধারণ অ্যাপ্রোচ। যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে যা গ্রহণ করা যায় না, তা আমি গ্রহণ করি না। আর যেটা গ্রহণ করা যায়, সেটা করার চেষ্টা করি।” এই প্রসঙ্গ ওঠে সম্প্রতি তাঁর একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। একটি থানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সৌগত রায় বলেছিলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে একটিও ধর্ষণ লজ্জার।” তাঁর এই মন্তব্যের পর অস্বস্তিতে পড়ে দল। তৎক্ষণাৎ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলতে হয়, সৌগত রায়ের মন্তব্য দল সমর্থন করছে না। TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌগত রায় বুঝিয়ে দিলেন, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার করেই তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।
তবে, সৌগত মস্তিষ্কের কথা শুনলেও মমতা শোনেন হৃদয়ের কথা। সৌগত রায় বলেন, “মমতা বরবারই আবেগে চলেন। উনি খুবই আবেগপ্রবণ। ওনার অত আবেগ আছে বলেই মানুষকে স্পর্শ করতে পারবেন। বেশি বুদ্ধিমান-যুক্তিবাদী লোকেরা অনেকের পিছনে দাঁড়ায় না। মুখ্যমন্ত্রীর মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার উপর গভীর বোধ আছে। একদিন কিছু বললেন, তাই নিয়ে সমালোচনা করাটা ভুল।”
এ দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌগত রায়। তাঁর ব্যাখ্যা, “অবক্ষয়ের একটা দৃষ্টান্ত বা বহিঃপ্রকাশ। পুলিশ যারা হয় তারা তো আমাদের মতোই পরিবার থেকে আসে। সব বাংলারই ছেলে। শুধু আইপিএস অফিসার বাইরে থেকে আসে। পুলিশ তো সমাজের অবক্ষয়ের বাইরে নয়। যে অবক্ষয় সমাজের মধ্যে দেখছি, তাতে পুলিশও আছে। হাতে লাঠি আছে বলে ওদের কাজগুলো বেশি দৃশ্যমান হয়। এই অবক্ষয় কীভাবে রোখা যায় সিরিয়াসলি ভাবা দরকার।” সৌগতর আরও বক্তব্য, “বাংলায় তো সেভাবে নারীবাদী আন্দোলনও দেখি না। আমি মনে করি, একটাও ঘটনা ঘটা উচিত নয়। ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। (এই প্রক্রিয়া) বাংলায় বিশেষ করে খাটে।”
সৌগতর বিতর্কিত মন্তব্য আদতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বলে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে সৌগতর দাবি, “ভুল কথা। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনি বলেই দলে আছি। তিনি ঠিক রাস্তায় চলেন বলেই তাঁর দলে আছি। আমি দলে থেকে তাঁর উদ্দেশে স্নাইপিং করব কেন? তাই কে কী বল এ নিয়ে চিন্তিত নই।”
আরও পড়ুন- অন্যায়টা অন্যায় বলার দরকার আছে, না বলাটা বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে: সৌগত রায়