Kolkata: ‘আমার সঙ্গে নাচো’, মদ্যপ প্রবাসীর ‘আবদার’ ফেরাতেই শহরের অভিজাত হোটেলে গায়িকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ

Kolkata: পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে এক গায়িকার জন্মদিনের পার্টি হচ্ছিল বাইপাসের ধারে ওই পাঁচতারা হোটেলে। অভিযোগ হঠাৎ করে অরুন কুমার নামে ওই ব্যাক্তি ওই গ্রুপের এক মহিলার সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। যে গ্রুপের পার্টি ছিল তাঁদের কেউ অরুনকে চেনেন না বলে জানাচ্ছেন।

Kolkata: ‘আমার সঙ্গে নাচো’, মদ্যপ প্রবাসীর ‘আবদার’ ফেরাতেই শহরের অভিজাত হোটেলে গায়িকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ
উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2024 | 7:05 PM

কলকাতা: বাইপাসের এক অভিজাত হোটেলে মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। গ্রেফতার এক প্রবাসী ভারতীয় সহ ২ ব্যাক্তি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাইপাসের ধারে ওই পাঁচতারা হোটেলে জন্মদিনের পার্টি চলছিল। অভিযোগ, সেখানে অরুণ কুমার (৬০)  ও রিঙ্কু গুপ্তা নামে দুই ব্যক্তি মহিলাকে শ্লীলতাহানি‌ করে। অভিযুক্ত দিল্লির অরুন কুমার প্রবাসী বলে জানা যাচ্ছে। থাকেন ইতালিতে। অন্যদিকে রিঙ্কু গুপ্তা বউবাজারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে এক গায়িকার জন্মদিনের পার্টি হচ্ছিল বাইপাসের ধারে ওই পাঁচতারা হোটেলে। অভিযোগ হঠাৎ করে অরুন কুমার নামে ওই ব্যাক্তি ওই গ্রুপের এক মহিলার সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। যে গ্রুপের পার্টি ছিল তাঁদের কেউ অরুনকে চেনেন না বলে জানাচ্ছেন। তাঁর কাণ্ড দেখে গায়িকা বাধা দিলে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় মুহূর্তেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হোটেলে। এরইমধ্যে খবর যায় পুলিশে। 

এই খবরটিও পড়ুন

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অরুন কুমার ও রিঙ্কু গুপ্তাকে। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই গায়িতা। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিও তুলেছেন। বলছেন, “আমরা ৬ বন্ধু মিলে ওই হোটেলে গিয়েছিলাম পার্টি করতে। গান-বাজনা হচ্ছিল। আচমকা ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় এসে আমাদের এক বন্ধুর সঙ্গে নাচতে শুরু করে দেন। ব্যাপারটা আমাদের খুবই দৃষ্টিকটূ লাগে। আমার এক বান্ধবীকে আমি সরিয়ে আনি। ওখানে এক মহিলাও সেই সময় পারফর্ম করছিলেন। তার সঙ্গেও তিন খুবই খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। আমার এক বান্ধবীকে ওনার সঙ্গে নাচার জন্যো জোরাজুরি করছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করায় বলেন আমি কে জানেন! আমার গায়ে হাত দেওয়ারও চেষ্টা করেন। আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। তারপরই আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানাই।”