Rahul Gandhi: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছি: রাহুল, বিজেপি বলল, ‘সত্য সামনে এসেছে’
Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। লোকসভার বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। রাহুলকে আক্রমণ করে জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, "দেশবাসী জানেন যে তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তা স্পষ্ট করার জন্য আমি রাহুলকে সাধুবাদ জানাই।"
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের শাসকদলকে লাগাতার নিশানা করেন তিনি। আক্রমণ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে(আরএসএস)। আর সেই আক্রমণ করতে গিয়েই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এমন মন্তব্য করলেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের ‘নোংরা সত্য’ সামনে আনার জন্য রাহুলের ‘প্রশংসা’ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
বুধবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন হেড কোয়ার্টার্সের উদ্বোধনের সময় বিজেপি ও আরএসএস-কে আক্রমণ করেন রাহুল। সেখানে তিনি বলেন, “আপনারা মনে করবেন না যে আমরা ন্যায্য লড়াই লড়ছি। এখানে কোনও নিরপেক্ষতা নেই। যদি আপনি মনে করেন যে আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়ছি, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না কী হচ্ছে। আমাদের দেশের সব সংস্থাকে কব্জা করে নিয়েছে। এখন আমরা বিজেপি, আরএসএস এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছি।”
রাহুলের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। লোকসভার বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। রাহুলকে আক্রমণ করে জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “দেশবাসী জানেন যে তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তা স্পষ্ট করার জন্য আমি রাহুলকে সাধুবাদ জানাই। এটা গোপন নয় যে যারা ভারতকে অবমাননা, অসম্মান করতে চায়, সেই আর্বান নকশালকে সঙ্গে রাহুল গান্ধী ও তাঁর বাস্তুতন্ত্রের নিবিড় যোগ রয়েছে। বারবার তাঁর একই কাজ এই বিশ্বাসকে আরও জোরালো করেছে। তিনি যা করেছেন এবং বলেছেন, সবই ভারতকে টুকরো করা এবং সমাজকে ভাগ করার দিকে নিয়ে যায়।”
এই খবরটিও পড়ুন
এখানেই না থেমে নাড্ডা লেখেন, “যেসব শক্তি ভারতকে দুর্বল হিসেবে দেখতে চায়, তাদের উৎসাহিত করার ইতিহাস রয়েছে কংগ্রেসের। তাদের কাছে ক্ষমতার লোভ মানে দেশের অখণ্ডতার সঙ্গে সমঝোতা করা এবং মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করা।” এরপর দেশবাসীর বিচক্ষণতায় আস্থা রেখে নাড্ডা বলেন, “ভারতবাসী বিচক্ষণ। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে রাহুল গান্ধী ও তাঁর বস্তাপচা মতাদর্শকে সবসময় খারিজ করবে।”
রাহুলকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী যদি মনে করেন যে বিরোধী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাহলে তিনি সংবিধানের কপি বয়ে বেড়ান কেন?”
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় এক অনুষ্ঠানে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে রাহুল মন্তব্য করেছিলেন, “শিখদের পাগড়ির পরার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে লড়াই চলছে। একজন শিখকে কাড়া পরতে দেওয়া হবে কি না, তাঁকে গুরুদ্বারে যেতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে লড়াই চলছে। এটা শুধু শিখদের জন্য নয়। এটা সব ধর্মের জন্য।”
সেইসময় তাঁর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় অভিযোগ দায়ের হয়। এমনকি, নাম না করে লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “নেতিবাচকতায় পূর্ণ কিছু ব্যক্তি ভারতের ঐক্যকে আঘাত করতে চাইছে। যাঁদের মন ঘৃণায় ভরা, তাঁরা ভারত ও গুজরাটের বদনাম করার কোনও সুযোগ ছাড়ছে না।”