Fake Call Centre: দমদম ক্যান্টনমেন্টে ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান, গ্রেফতার চার মহিলা-সহ ১৭
Fake Call Centre: বৃহস্পতিবার রাতে বারাকপুর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় ক্যান্টনমেন্টের ওই অফিসে। সেখান থেকে হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে চারজন মহিলা।
কলকাতা: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে টাওয়ার বসানোর নাম করে এবং হেলথ ইনসিওরেন্স খুলে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১৭ জনকে। তাঁদের মধ্যে চার জন মহিলা। দমদম ক্যান্টনমেন্টে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে টাওয়ার বসানোর নাম করে একাধিক মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়া নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণাও করা হত বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার রাতে বারাকপুর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় ক্যান্টনমেন্টের ওই অফিসে। সেখান থেকে হাতেনাতে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে চারজন মহিলা। মূলত পুলিশ জানতে পেরেছে, একাধিক মানুষের নম্বর জোগাড় করে ফোন করে টাওয়ার বসানোর কথা বলতেন অভিযুক্তরা। মোটা অঙ্কের টাকা প্রতারণা করতেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তিকে প্রতারিত করেছেন অভিযুক্তরা। থানায় এই খবর দায়ের করা হয়। এরপরেই গোয়েন্দা শাখার কর্তারা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দমদম থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন সেখানে। তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাঁদেরকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।
নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে একটা বড় প্রতারণা চক্র কাজ করছে। সেই কারণেই ধৃতদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত কয়েক মাসে এইভাবে একাধিক ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিদেশে প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতেও গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিকজনকে। এছাড়াও অনলাইন প্রতারণা চক্রেরও পর্দাফাঁস করেছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা বলছেন, শহরে এরকম একাধিক প্রতারণার ফাঁদ বিছানো হয়েছে। কোনও অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসে কোনও বড় প্রস্তাব দিলে, সেই ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যই আবেদন করছেন গোয়েন্দারা।