যুব কল্যাণ দফতরের অফিসে অগ্নিকাণ্ড, ১০টি ইঞ্জিনের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রিত আগুন
আগুন নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় এলাকা। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে নজর রাখা হয় সেদিকেও। বহুতলে না ঢুকে হাইড্রোলিক ল্যাডার তিনতলায় উঠে সার্চ লাইট জ্বেলে জল দিয়ে ঘরের ভেতরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়।
কলকাতা: ফের অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী শহর (Kolkata)। বিবাদী বাগে যুব কল্যাণ দফতরের অফিসের তিনতলায় রাত সাড়ে নটা নাগাদ আচমকা আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় তিনটি ইঞ্জিন। পরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ক্রমে পাঁচটি ও শেষে দশটি করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রায় এক ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে, সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয় এলাকায়। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে নজর রাখা হয় সেদিকেও। বহুতলে না ঢুকে হাইড্রোলিক ল্যাডার তিনতলায় উঠে সার্চ লাইট জ্বেলে জল দিয়ে ঘরের ভেতরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। আগুনের হলকায় আহত এক দমকলকর্মী। তাঁর হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “কীভাবে কখন কোথায় আগুন লাগবে তো বলা যায় না। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আমাদের কর্মীরা রয়েছে।”
যদিও আগুন কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। দমকলের প্রাখমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।লকডাউন চলায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি হয়নি। কারণ, সমস্ত অফিস ও সংলগ্ন দোকানগুলি বন্ধ। তবে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা। বিবাদী বাগ চত্বরে আচমকা এই ভয়াবহ আগুন স্ট্র্য়ান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, স্ট্র্যান্ড রোডের ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই শিক্ষা নিয়ে বরাবর সতর্ক পদক্ষেপ করেছে দমকল। ঘটনাস্থলে একাধিক ইঞ্জিন পাঠানো, দমকলকর্মীদের যথোপযুক্ত সুরক্ষা, হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার ও উচ্চ আধিকারিকদের উপস্থিতি—এসবই দমকলের সুচিন্তিত পদক্ষেপ। বিবাদী বাগের অগ্নিকাণ্ডে ফের দমকলের সেই সচেতনতাই আরও একবার দেখল শহর এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: করোনার কোপ, এক ধাক্কায় ২০ টি দূরপাল্লার ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল পূর্ব রেল