Firhad blames CESC: ‘সিইএসসিকে সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না’, দায় এড়াচ্ছেন ফিরহাদও?

Water logged Kolkata: সিইএসসি এবার থেকে সতর্ক না হলে শহরে আর মাটি খুঁড়ে লাইন পাততে দেবে না পৌর প্রশাসন।

Firhad blames CESC: 'সিইএসসিকে সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না', দায় এড়াচ্ছেন ফিরহাদও?
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুতে সিইএসসি ও কেএমসিকে কড়া বার্তা ফিরহাদের। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 8:59 PM

কলকাতা : বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু কলকাতা শহর ও শহরতলির জল যন্ত্রণার ক্ষত এখনও দগদগে। কঙ্কালসার, ভয়াবহ ছবিটা আজ স্পষ্ট শহরবাসীর কাছে। শেষ চার দিনে ১৩ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। আর এরই মধ্যে একে অন্যের উপর দোষ দিতে ব্যস্ত। কীভাবে নিজের ঘাড়ের উপর থেকে দায় সরানো যায়, তা নিয়েই তৎপর সবাই। আজ ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim) এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আক্রমণ করলেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে (CESC)।

কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, সিইএসসিকে সতর্ক করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। চারিদিকে বাতিস্তম্ভের তার খোলা থাকছে। ফিডার বক্স খোলা থাকছে। আজ কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) পৌর কমিশনার, আলো বিভাগের ডিজির সঙ্গে বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম জানালেন, সিইএসসি এবার থেকে সতর্ক না হলে শহরে আর মাটি খুঁড়ে লাইন পাততে দেবে না পৌর প্রশাসন।

পাশাপাশি শহরের সব ক’টি বাতিস্তম্ভের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য পৌর কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ হাকিম। সিইএসসি এবং কলকাতা পৌরসভা যৌথ প্রতিনিধি দল এই পরিদর্শন করবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে শাপুরজি আবাসনে যেভাবে জল দাঁড়িয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সেখানকার নির্মাণকারী সংস্থাকে আগামী ১ অক্টোবর বিশেষ বৈঠকে ডাকলেন আবাসনমন্ত্রী। হিডকোকেও (HIDCO) তিনি নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।

এদিকে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণায় শহর কলকাতার এলাকায় এলাকায় জমে রয়েছে হাঁটুর ওপর জল। ঘটছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। আর এরই মধ্যে গতকালই জল জমার জন্য ভিন রাজ্যকে দায়ী করেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অসুবিধায় পড়েছে কলকাতাও।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। কৃষি জমির পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য যে সমস্ত ফিশারি রয়েছে তাও জলের তলায়। শহর ও শহরতলির বহু জায়গাতেই বৃষ্টির জমা জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা স্বাদের মাছ। এলাকার লোকজনও ছিপ-জাল নিয়ে নেমে পড়ছেন সেই মাছ ধরতে। এদিকে জমাজলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

এর আগে রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন তিনি। তার আগে রাজ্যের বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ও রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বলেছেন মমতা। এবার তাঁর দলের নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতার জলযন্ত্রণা নিয়ে অন্যরকম ব্যাখ্যা দিলেন।