Fraud Case: আধার প্রতারণায় এবার অর্থসচিবকে চিঠি, দলিলে হাতের ছাপ অদৃশ্য রাখার অনুরোধ
Fraud Case: অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি যদি জমি কেনেন, সেখানে মালিকের হাতের ছাপ থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটাকে টার্গেট করছে প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
কলকাতা: TV 9 বাংলার লাগাতর খবরের জের। আধারে জালিয়াতিকাণ্ডে অবশেষে টনক নড়ল কলকাতা পুলিশের। অর্থসচিবকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ। চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে, যে কোনও দলিল ডাউনলোড করার সময়ে যে হাতের ছাপ দেখা যায়, তা যেন অদৃশ্য থাকে। অর্থাৎ দলিল পেলেও তাতে যেন আঙুলের ছাপ দেখা না যায়। গত কয়েকদিনে আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক হাতিয়ে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা থেকে একাধিক জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গুচ্ছ গুচ্ছ এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারণার ধরন একই। অর্থাৎ দলিল থেকে আঙুলের ছাপ হাতিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। দলিল থেকেই বেশিরভাগ জালিয়াতি হয়েছে।
অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি যদি জমি কেনেন, সেখানে মালিকের হাতের ছাপ থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটাকে টার্গেট করছে প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অতি সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার এক কৃষক পরিবার জমি কিনেছিলেন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এরকম বেশ কয়েকটি কেস স্টাডি দেখে পুলিশ একটি ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে, দলিল থেকে হাতের ছাপ নিয়েই প্রতারণা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে অর্থ সচিবকে চিঠি করে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। হাতের ছাপ অদৃশ্য করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতারকরা দলিল হয়তো ডাউনলোড করতে পারবে, তবে হাতের ছাপ নকল করতে পারবে না। তাতে আধার জালিয়াতি অনেক ক্ষেত্রেই আটকানো যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নারায়ণপুর গ্রামে আধার প্রতারণা-হাবের হদিশ মিলেছে। ওই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই সক্রিয় ছিল এই চক্র। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আঙুলের ছাপ নকল করার মেশিন।