Free Ration Card: নিজের বাড়ি, বার্ষিক আয় ২ লক্ষের বেশি, তাও ফ্রি রেশন তুলছেন? সাবধান হোন
Free Ration Card: করোনাকালে প্রচুর সংখ্যাক মানুষ যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে তাঁদের বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই 'ফ্রি রেশন স্কমি'-এর মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারের নজরে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিরাও বিনামূল্যে 'ফ্রি রেশনের' সুবিধা নিয়ে চলেছেন। তাঁদের উচিৎ অতি সত্ত্বর রেশন কার্ড জমা দেওয়া। কারণ এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।
কলকাতা: রেশন কার্ড আছে? যদি থেকে থাকে, সেই কার্ডে বিনামূল্যের রেশনের সুবিধা নিচ্ছেন? এবার তাহলে সাবধান হোন। কারণ, বিনামূল্যের রেশনের সুবিধা নিয়ে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের একগুচ্ছ নিয়ম রয়েছে। যে কেউ চাইলেই ভর্তুকিযুক্ত চাল, গম নিতে পারেন না। আর যাঁরা এই সুবিধা নিয়ে চলেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
করোনাকালে প্রচুর সংখ্যক মানুষ যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে তাঁদের বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ‘ফ্রি রেশন স্কিম’-এর মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারের নজরে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিরাও বিনামূল্যে ‘ফ্রি রেশনের’ সুবিধা নিয়ে চলেছেন। তাঁদের উচিত অতি সত্বর রেশন কার্ড জমা দেওয়া। কারণ এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।
কারা ‘ফ্রি রেশন’ এর সুবিধা পাবেন না?
- ২০১৫ সালে ফুড সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, যদি কোনও কার্ডধারী তাঁর উপার্জন থেকে ১০০ স্কোয়্যাল মিটারের ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনেন তবে তিনি এই পরিষেবা পাবেন না।
- যদি কারও কাছে একটি 2 হুইলার,গাড়ি, ট্রাক্টর, অস্ত্রের লাইসেন্স থাকে তিনিও বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার যোগ্য নন।
- যদি কোনও রেশনকার্ডধারী গ্রামে থাকেন, আর তাঁর আয় ২ লক্ষ টাকার বেশি হয়, অপরদিকে কোনও ব্যক্তি শহরে বসবাস করলে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকা হয় তবে তিনিও এই পরিষেবা পাবেন না।
এই সকল ব্যক্তিদের অবলম্বে ডিএসও অফিসে রেশন কার্ড জমা দিতে হবে। আর যদি কেউ তা না করেন তদন্ত করে তাঁদের কার্ড বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকা এবং শহর এলাকায় যাঁরা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ তাঁরা এপিএল এবং বিপিএল রেশন কার্ড তৈরি করেছে। সরকার দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের চিহ্নিককরণের কাজ শুরু করবে।