Left front in Bengal: ৩৪ বছরের শাসক থেকে তৃতীয় শক্তি, বাংলায় ‘লাল’ক্ষয় কোন পথে?
Left front in Bengal: সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট বাংলায় ক্ষমতায় আসে ১৯৭৭ সালে। তারপর ৩৪ বছর বাংলার মসনদে ছিল বামেরা। জ্যোতি বসু আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই ৩৪ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় বামেরা। তারপর কেটেছে ১৩ বছর। এই কয়েক বছরে রাজ্যে 'লাল'ক্ষয় চোখে পড়ার মতো। আজ বাংলায় বিধানসভায় সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি নেই। লোকসভায়ও বাংলা থেকে কোনও প্রতিনিধি নেই সিপিএমের।

কলকাতা: নকশাল আন্দোলন। জরুরি অবস্থা। সাতের দশকের মাঝামাঝি অস্থির বাংলা। রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে লাল ঝান্ডা। এই অবস্থায় এল সাতাত্তরের নির্বাচন। এমন একটা নির্বাচন, যা আগামী ৩৪ বছরের বামশাসনের পথচলার সূত্রপাত ঘটাবে। সেই সূচনাও হল জাঁকজমকভাবে। তারপর ৩৪ বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বইল। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ, কৃষক-শ্রমিকদের নিরঙ্কুশ সমর্থন পেল সিপিএম তথা বামেরা। বিদায় পর্বের আগেও ঘটনার ঘনঘটা। যে কৃষক, গ্রামের মানুষের সমর্থন ৩৪ বছর ধরে পেয়ে এসেছিল লাল ঝান্ডা, তারাই সরে গেল। ২০০৬ সালের নির্বাচনেও যারা দুশোর বেশি আসন পেয়েছিল, তারাই মুখ খুবড়ে পড়ল ২০১১-র নির্বাচনে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১৩ বছর কেটেছে। আর তার সঙ্গে রাজ্যে তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে সিপিএম তথা বামেরা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ৮ শতাংশও পেরোতে পারেনি। বাংলা থেকে উনিশের নির্বাচনে শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরেও বাংলায় খাতা খুলতে পারেননি মহম্মদ সেলিমরা। একই ছবি চব্বিশেও। কংগ্রেসের হাত ধরেও বাংলায় শূন্য-ই রইল সিপিএম। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বাংলায়...
