TET 2022: আমি গতকাল বলাতেই বিঘ্ন ঘটানোর সাহস পায়নি: পর্ষদ সভাপতি
TET 2022: এদিন বড়সড় কোনও বিঘ্ন ছাড়াই টেট পরীক্ষার আয়োজন করা গিয়েছে। আর তারপরই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, 'আমার বলার জন্যই বিঘ্ন ঘটানোর সাহস পায়নি।'
কলকাতা: শনিবার বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠক করে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal)। বলেছিলেন, কেউ কেউ পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। পর্ষদ ও প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট খবর রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, “কেউ যদি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন, আমরা প্রশাসনকে বলব কড়া পদক্ষেপ করতে।” পর্ষদ সভাপতির সেই হুঁশিয়ারির পর এদিন বড়সড় কোনও বিঘ্ন ছাড়াই টেট পরীক্ষার (TET 2022) আয়োজন করা গিয়েছে। আর তারপরই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আমার বলার জন্যই বিঘ্ন ঘটানোর সাহস পায়নি।’ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছিল। যেমন অনেক পরীক্ষার্থীই অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষাকেন্দ্রের ঠিকানা ‘ভুল’ দেখানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। যদিও পর্ষদের তরফে আগেই তিন দফায় সেই ভুলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংশোধিত ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। আবার কোথাও ব্যাগ-রাখা নিয়েও সমস্যায় পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। বায়োমেট্রিক নিয়েও অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পর্ষদের তরফে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময়সীমা বাড়িয়ে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা হয়েছিল।
এদিন পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, “আমি আসার আগে বোর্ডকে চারবার এক্সটেনশন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবু টেট নেওয়া যায়নি। আমি আসার পর দিন বাড়ানো হয়েছে। এবার টেট নেওয়া গেল। ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর বাদ দিয়েই ৮৩ শতাংশ উপস্থিতি। ৫৭৬৩৫৮ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুর বাদে।” প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে সেখানকার তথ্য এসে পৌঁছাতে দেরি হয়।
পরে জানানো হয় ৪১ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৩ জন। মোট হিসেবে পরীক্ষার্থীর শতকরা হার ৮৯.৩৬ শতাংশ।